বাংলাদেশিদের সাথে প্রতারণার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় পাকিস্তানি গ্রেপ্তার
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের সেতাপাক জয়ার আশেপাশে তিনটি স্থানে বৃহস্পতিবার ( ১৪ নভেম্বর) মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এই বিশেষ অভিযানে নথি জালিয়াতি একটি চক্রকে আটক করে ইমিগ্রেশন বিভাগ। বৃহস্পতিবার সকল ১১ টায় শুরু হয় অভিযান পরিচালিত হয় গোয়েন্দা তথ্য ও স্থানীয় নাগরিকদের দেওয়া তথ্যের উপর নির্ভর করে।
স্থানীয় নাগরিক ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত তিন সপ্তাহ ধরে সেতাপাক জয়ার এলাকাটি বিশেষ নজরে রাখে ইমিগ্রেশন বিভাগের গোয়েন্দা টিম ও স্থানীয় নাগরিকদের বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়। এ সময় জালনথি তৈরির মূল মাস্টারমাইন্ড দুই পাকিস্তানি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়াও গ্রেফতার করা হয় ছয় পাকিস্তানি পুরুষ এবং একজন ভারতীয় নাগরিকসহ ৯ জনকে। যাদের বয়স ২১ থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে।
মালয়েশিয়ার অভিবাসনের প্রধান পরিচালক দাতো জাকারিয়া বিন শাবান জানান, জালনথি তৈরির দুই মূল মাস্টারমাইন্ড পাকিস্তানি এ দুই নাগরিককে জিজ্ঞাসাবাদের ফলে জানা যায়, তারা এই অবৈধ কাজটি দীর্ঘ ছয় মাস ধরে করে আসছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে বাংলাদেশী ৭৪ পাসপোর্টসহ ১৬১টি পাসপোর্ট জব্দ করে। এর মধ্যে পাকিস্তানি পাসপোর্ট ৩৩ টি, ও কপি ২৬ টি, ভারতীয় পাসপোর্ট ১৯ টি, ইন্দোনেশিয়ার পাসপোর্টের ১৯ কপি, মিয়ানমারের পাসপোর্ট এর ছয়টি কপি, ফিলিপাইন পাসপোর্ট এর একটি কপি, থাইল্যান্ড পাসপোর্ট এর একটি কপি, ইরাকি একটি, ১টি ল্যাপটপসহ ১টি টয়োটা ইনোভা টাইপ এবং একটি প্রোটন এক্সোরাসহ দুটি গাড়ি জব্দ করা হয়।
এই সিন্ডিকেটের মূল কাজ ছিল, মালয়েশিয়া তে অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের অবৈধ কর্মীদের ভিসা করার প্রলোভন দেখিয়ে পাসপোর্ট ও রিঙ্গিত হাতিয়ে নেওয়া।
সিন্ডিকেটটি বেশি গ্রাহক জোগাড় করার জন্য, প্রথম পর্যায়ে মাত্র ২০০ রিঙ্গিত করে চার্জ নিত পরবর্তীতে সময় নিয়ে আরও অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হতো বলে জানা গেছে। প্রাথমিকভাবে জানা যায় অল্প টাকার ফাঁদে ফেলেই বেশি গ্রাহক আনত তারা।
জানা যায় এই কাজে সহযোগিতা করার জন্য বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের দালালদের ব্যবহার করা হত।
মালয়েশিয়ার পাসপোর্ট আইন ১৯৬৬ এর ধারা ১২(১)(ই) এবং ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩ এর ধারা ৬(৩) অধীনে পাকিস্তানি নাগরিকসহ তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। আইনি পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সেমনিহা ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে।