লক্ষ্মীপুরে শিশু শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে প্রধান শিক্ষক কারাগারে

লক্ষ্মীপুরে ফল খাওয়ার লোভ দেখিয়ে শিশু শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে কবির হোসেন নামে এক প্রধান শিক্ষককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বুধবার (২৮ মে) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে ওই শিক্ষককে কারাগারে প্রেরণ করে পুলিশ।
এর আগে মঙ্গলবার সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ-পশ্চিম চরমনসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টয়লেটে ৪ বছর বয়সের শিশু ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনা জানাজানি হলে অভিযুক্ত শিক্ষককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের সোপর্দ করেছে ওই ছাত্রীর মা সহ ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
পরে ওই শিক্ষার্থীর মা হালিমা বেগম বাদী হয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চরমনসা গ্রামের শাকায়েত উল্যার ছেলে। তিনি ৩০ বছর ধরে ওই বিদ্যালয়ে কর্মরত রয়েছে বলে জানা গেছে।
ভিকটিম শিশুর মা হালিমা বেগম ও স্থানীয়রা জানায়, চরমনসা গ্রামের শিশু নাফিসা বেগম গত ১৫২০ দিন ধরে কিছুতেই বিদ্যালয়ে আসতে রাজি হচ্ছিল না। পরবর্তীতে মায়ের জিজ্ঞাসাবাদে শিশুটি জানায় প্রধান শিক্ষক কবির হোসেন জাম ও মণ্ডল খেতে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিদ্যালয়ের টয়লেটে নিয়ে যৌন হয়রানি করেছিল।
এই ঘটনা কারো কাছে বললে তাকে প্রাণে হত্যারও হুমকি দেয় ওই প্রধান শিক্ষক। ফলে সে ভয়ে বিদ্যালয়ে যেতে রাজি হচ্ছিল না। ঘটনার পর থেকে প্রধান শিক্ষক ট্রেনিংয়ে থাকায় বিদ্যালয়ে আসেনি। বিষয়টি অন্য শিক্ষকদের জানালে আজ সকালে আসতে বলে। কিন্তু সকালে বিদ্যালয়ে শিশুটির মা আসলেও কোন পাত্তা পায়নি প্রধানশিক্ষকের কাছে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে অভিভাবা ও স্থানীয়রা। এক পর্যায়ে গণ পিটুনি দিয়ে অভিযুক্ত প্রধানশিক্ষক কবির হোসেনকে পুলিশে সোপর্দ করেন স্থানীয়রা। এঘটনায় সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার।
এদিকে গ্রেপ্তারের আগেই যৌন হয়রানির বিষয়টি মিথ্যা বলে দাবী করেন অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক কবির হোসেন। তিনি বলেন, প্রশিক্ষণের তিনি গত ১ সাপ্তাহ ধরের বিদয়ায়ের বাহিরে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করছে বলে দাবী করেন তিনি।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মুন্নাফ জানান, শিশু ছাত্রীর মা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
Comments