স্টেডিয়ামের ড্রেনে পাওয়া গেল অসংখ্য ফেন্সিডিলের বোতল

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা শহীদ আবু নাঈম স্টেডিয়ামের ড্রেনে পাওয়া গেছে ফেন্সিডিলের হাজার হাজার বোতল। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ সাধারণ মানুষের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার কিশোরগঞ্জ স্টেডিয়ামে আরাফাত রহমান কোকো ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলার পূর্বে প্রচুর পরিমানে বৃষ্টি হলে মাঠের ড্রেন দিয়ে পানি নিস্কাসন না হলে কিশোরগঞ্জ ফুটবল একাডেমির সাবেক খেলোয়াড় রাশেদ ও বর্তমান উদীয়মান খেলোয়াড় মোনাব্বেরুল ইসলাম ড্রেনের পানি নিস্কাসনের জন্য ড্রেনের ঢাকনা খুললে হাজার হাজার ফেন্সিডিলের ব্যবহারিত বোতল ড্রেনের মুখে আটকে যায়।
বিষয়টি জানাজানি হলে শতশত মানুষ ড্রেনের বোতল দেখতে ভীড় জমায় এবং পুলিশ প্রশাসনের তীব্র কঠোর সমালোচনা করেন। সাধারণ মানুষের দাবী প্রশাসন উদ্যোগ নিলেই মাদক সেবনকারী ও ব্যবসায়ীকে আটক করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পারে।
কয়েকজন সাবেক খেলোয়াড় বলেন,উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজ পর্যন্ত খেলোয়াড়দের নিয়ে কোন কাজ করেন নি। এই মুহুর্তে মাঠের পশ্চিম দিকে প্রাচীর স্থাপন না করলে মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের রোধ করা সম্ভব নয়।
খবর পেয়ে কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছুটে আসেন স্টেডিয়ামে। ফেন্সিডিলের বোতল দেখে অবাক হয়ে তিনি মাঠের সুরক্ষার জন্য উপস্থিত সাধারণ মানুষের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, শুক্রবার রাত ১০ টার পর কোন ব্যক্তি স্টেডিয়ামে দেখা পাওয়া গেলে তাদেরকে থানায় সোপর্দ করা হবে। স্টেডিয়াম খেলার জন্য, এখানে আপনার আমার সন্তান খেলতে আসবে শরীর গঠনের জন্য। কোন মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীকে মাঠে পাওয়া গেলে আইনের আওতায় আনা হবে। সে যে কোন কোটিপতি বা ক্ষমতাধর ব্যক্তির সন্তান হোক। মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীদের ছাড় দেয়া হবে না।
এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আশরাফুল ইসলাম বলেন, আজ থেকে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা শুরু করা হবে এবং মাদকসেবিদের সনাক্ত করে তাদেরকেও আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
Comments