এমপি আনার হত্যার এক বছর আজ

কলকাতায় সাবেক এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার এক বছর আজ। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থমকে গেছে মামলার তদন্ত। নয় মাস ধরে নেই কোনো অগ্রগতি। আনারের দেহাবশেষের সঙ্গে মেয়ের ডিএনএ মিলে গেলেও সেই রিপোর্ট আনতে এখনও পশ্চিমবঙ্গ সিআইডির সঙ্গে যোগাযোগ করেনি ডিএমপি।
ভারতে ৮৭ দিনে মামলার অভিযোগপত্র জমা পড়লেও দেশের আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে ৯ বার পেছানো হয়েছে সময়। অপরাধ বিশ্লেষক বলছেন, দ্রুত নিষ্পত্তি না করে উল্টো মামলাটি ড্রিপ ফ্রিজে পাঠানো দুঃখজনক।
গত বছরের ১২ মে ভারতের কলকাতায় যান ঝিনাইদহের তখনকার এমপি আনোয়ারুল আজিম। এরপর ১৩মে থেকে নিখোঁজ হন তিনি। এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় দুই দেশেই।
আইনজীবীরা বলছেন, এমন চাঞ্চল্যকর মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে না পারলে ন্যায়বিচার প্রশ্নবিদ্ধ হবে। আনার হত্যা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করে অন্তর্র্বতী সরকারকে উদাহরণ তৈরির তাগিদ অপরাধ বিশ্লেষকের।
এ ঘটনায় ৯ জন গ্রেফতার হলেও হোতা শাহীন এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। হত্যার পর যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়েছে বলে ধারণা পুলিশের।
তদন্তে নেমে যশোর অঞ্চলের চরমপন্থি নেতা আমানুল্লাহ ও তার ভাতিজা তানভীর এবং খুনের মূল পরিকল্পনাকারী যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী শাহিনের বান্ধবী সেলেস্তিকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। ধরা পড়ে ঝিনাইদহের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিন্টু ও আরেক নেতা বাবু। খাগড়াছড়ির পাহাড় থেকে ধরা পড়ে দুই ভাড়াটে খুনি ফয়সাল ও মোস্তাফিজ। ভারত ও নেপালে গ্রেফতার হয় জিহাদ ও সিয়াম। পুলিশ জানায়, স্বর্ণ চোরাচালাল নিয়ে শাহীনের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে খুন হন আনার।
বাগজোলা খালে মেলে আনারের হাড়। সঞ্জিভা গার্ডেনের সেপটিক ট্যাংক মেলে প্রায় ৪ কেজি মাংস। উদ্ধার হওয়া দেহাংশের সঙ্গে মিলে যায় আনারের মেয়ের ডিএনএ। হত্যার ৮৭ দিনেই মামলার অভিযোগপত্র দেয় পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি।
৫ আগস্টের পর এ মামলা নিয়ে দুদেশের তদন্ত সংস্থার তৎপরতা এক প্রকার বন্ধ। ডিএনএ রিপোর্ট দেশে এনে অপহরণ মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরের উদ্যোগ নেয়নি বাংলাদেশের পুলিশ। গ্রেফতার ৭ আসামির ৬ জন আদালতে জবানবন্দি দিলেও ৯ বার পিছিয়েছে তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ।
Comments