দুমকিতে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা

পটুয়াখালীর দুমকিতে জুলাই অভ্যুত্থান এর শহীদ হওয়া (জসিম উদ্দিনের) পিতার কবর জেয়ারত শেষে নানা বাড়ি ফেরার পথে দ্বাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থী লামিয়ার ধর্ষণের শিকার হয়। ঢাকায় তাদের ভাড়া বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে মৃতুর খবরে ধোপার হাট গ্রাম শোকে স্তব্দ। মামলার আসামীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি স্বজনসহ সর্বস্তরের মানুষের।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ঢাকায় শহীদ হওয়া পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার জসিম উদ্দিনের কন্যা লামিয়াকে (১৭) বাবার কবরের পাশেই দাফন করা হবে। আজ দুপুরে ঢাকা সেহরোয়ার্দি হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে তার লাশ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসার পরে নামাজে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন লামিয়ার স্বজনরা। তাই পাঙ্গাসিয়া ইউনিয়নের ধোপার হাটে তার দাদার বাড়িতে বাবার কবরের পাশে কবর খোঁড়া ও জানাজার স্থান প্রস্তুতের কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শেখেরটেক এলাকার ৬ নম্বর রোডের একটি ভাড়া বাসা থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় লামিয়ার নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়।

তাৎক্ষণিকভাবে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মৃত্যুতে শোকাহত হয়ে পড়েন স্বজনসহ এলাকাবাসী। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ মার্চ পটুয়াখালীর পাংগাশিয়া ইউনিয়নে নিজ বাড়ি থেকে নানা বাড়ি যাওয়ার পথে লামিয়া সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। সাহসিকতার সাথে তিনি নিজে থানায় গিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে। ইতিমধ্যে দুমকি থানা পুলিশ অভিযুক্ত সাকিব ও সিফাতকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে।
পরিবারের দাবি, ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর থেকেই লামিয়া গভীর মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছিলেন। সামাজিক লজ্জা, অবহেলা এবং ন্যায়বিচার না পাওয়ার আশঙ্কা তার মধ্যে চরম হতাশা তৈরি করে। সেই হতাশা থেকেই তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে পরিবারের ধারণা। এই ঘটনার সুস্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছেন স্বজনসহ স্থানীয়রা।
দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাকির হোসেন বলেন, আজ সন্ধ্যা সাতটায় পাঙ্গাসিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে তার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হবে।
Comments