লক্ষ্মীপুরে বিএনপি’র দু’গ্রুপে সংঘর্ষ; ১৫ বাড়িতে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বিএনপির দু-গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনার জেরে অন্তত ১৫টি বাড়িঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রুহুল আমিন খান, আব্দুল গণি খান, কাশেম খান, এমদাদুল্লাহ গাজী, আরিফ ও তারেক মুহুরীসহ বেশ কয়েকজনের বাড়িঘরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করা হয়। এসময় ঘরের মালামাল লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে। বিকেলে সাংবাদিকদের কাছে এসব অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী রুহুল আমিনের ভাই আলা উদ্দিন মাষ্টার।
এদিকে এ ঘটনার জেরে ওই এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা করা হয়নি। এ ছাড়া এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন ভূইঁয়া বলেন, দুপক্ষের লোকজনই হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার সঙ্গে জড়িত। ঘটনাস্থলে রয়েছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে। নিহত সাইজ উদ্দিনের পক্ষ থেকে এখনও কোনো মামলা করা হয়নি। তবে সন্ধ্যার মধ্যে মামলা রুজু করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার ২ নম্বর চরবংশী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ফারুক কবিরাজ ও উপজেলা কৃষকদলের সদস্যসচিব শামীম গাজীর মধ্যে আধিপত্য বিস্তার, মাছঘাট, মেঘনার চর, কাঁচাবাজার নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত একাধিকবার ধাওয়া-পাল্টা ও সংঘর্ষ হয়।
এসময় স্পেন প্রবাসী বিএনপি কর্মী সাইজ উদ্দিন নিহত হন। এ ঘটনায় আরও অন্তত ১৫ জন আহত হন। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বিএনপি কর্মী আবু খাঁ, নজরুল কবিরাজ, হানিফ দেওয়ান,জসিম উদ্দিনসহ চারজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের চারজনের অবস্থায় আশঙ্কাজনক। অন্য আহতদের লক্ষ্মীপুর ও রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
Comments