রক্তে স্যালাইন মিশিয়ে বিক্রি
দুধে জল মেশানোর কথা শোনা যায়। কিন্তু রক্তের মধ্যে স্যালাইন মিশিয়ে এক পাউচ রক্তকে তিন পাউচ করে ফেলার কথা কোনোদিন শুনেছেন? এমন অপরাধেই দেশে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর তারপরই সামনে এসেছে এই মহা জালিয়াতদের কথা।
প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে এক ব্যাগ রক্ত চুরির সময় ধরা পড়ে দুজন। শনিবার বিকালে তাদের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। এরপরই সামনে আসে ভয়াবহ তথ্য়।
পুলিশ জানিয়েছে, তারা একটি চক্রের মাধ্যমে বিভিন্ন হাসপাতাল বা ক্লিনিক থেকে রক্ত চুরি করত। এরপর প্রতি ব্যাগ রক্তে স্যালাইন মিশিয়ে তারা তিন ব্যাগ বানিয়ে ফেলত। আর সেটাই বিক্রি করত তারা। এখানেই শেষ নয়, মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের কাছ থেকে তারা রক্ত সংগ্রহ করে বিক্রি করত।
ওই প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে ধৃতদের নাম মহম্মদ নইম খান, মহম্মদ আবদুল্লাহ।
পুলিশ গ্রেফতারের পরে জানিয়েছে, বিভিন্ন ক্লিনিক থেকে অপরাধীরা রক্ত সংগ্রহ করে বিক্রি করতেন। তারা অনেক বড় চক্রের সঙ্গে জড়িত। মাদক সেবন করে এমন ব্যক্তিদের কাছ থেকে রক্ত সংগ্রহ করে সরকার অনুমোদিত ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে রক্ত না নিয়ে তারা ভুয়া ব্লাড ব্যাঙ্কের কথা বলে এই ধরনের রক্ত বিক্রি করত।
একেবারে ভয়াবহ অভিযোগ। রক্ত অবৈধভাবে বিক্রির কথা এতদিন জানা যেত। কিন্তু রক্তের মধ্য়ে স্যালাইন মিশিয়ে বিক্রির কথা বিশেষ জানা যায়নি। এবার দেশে সেই অভিযোগও সামনে এলো। আপাতত দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের রক্ত বিক্রির কোনও বৈধতা নেই।
ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহকারি পরিচালক (প্রশাসন) মহম্মদ মইনুদ্দিন খান বলেন, একজন রোগীর কাছ থেকে এক ব্যাগ রক্তের জন্য় ২ হাজার ২০০ টাকা নিলেও রক্ত দিচ্ছিল না। পরে বিষয়টি নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তৎপরতা শুরু করলে চক্রের সদস্যদের আটক করা হয়।