চিন্তাসূত্র সাহিত্য পুরস্কার গ্রহণ করলেন ৪ গুণিজন
শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির ওয়েবম্যাগ চিন্তাসূত্র দীর্ঘদিন ধরে সাহিত্যের বিশুদ্ধ রূপ বজায় রাখার চর্চা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২১ সালে প্রবর্তন করা হয় 'চিন্তাসূত্র সাহিত্য পুরস্কার'। পুরস্কারপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে দেওয়া হয় ক্রেস্ট, উত্তরীয় ও সনদ।
এবার 'চিন্তাসূত্র সাহিত্য পুরস্কার-২০২৪' পেয়েছেন চার জন। তারা হলেন, প্রবন্ধে রকিবুল হাসান, কথাসাহিত্যে আকিমুন রহমান, কবিতায় আকতার হোসাইন ও ছোটকাগজ সম্পাদনায় 'জলধি' সম্পাদক নাহিদা আশরাফী।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ধানমন্ডির অবসর ভবনে যুক্ত প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাদের পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি কথাশিল্পী রফিকুর রশীদ, সভাপতি মাহমুদ কামাল।
জনপ্রিয় কথাশিল্পী মনি হায়দারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সোনারগাঁ ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার প্রফেসর ড. একরামুল ইসলাম, প্রাইম ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের প্রধান ড. আব্দুল আউয়াল। স্বাগত বক্তব্য দেন কথাশিল্পী-গবেষক ও চিন্তাসূত্র সাহিত্য পুরস্কার-২০২৪ কমিটির আহ্বায়ক কবীর আলমগীর।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, চিন্তাসূত্র সাহিত্য পুরস্কারের সঙ্গে দেশে প্রচলিত অন্যান্য পুরস্কারের পার্থক্য এখানে যে, অন্যরা পুরস্কার দেয় পরিচিত মুখ দেখে। চেনা-জানা সাহিত্যিককে। আর চিন্তাসূত্র পুরস্কার দেয় খুঁজে খুঁজে বের করে প্রকৃত সাহিত্যকর্মীকে। তারা চিন্তাসূত্র সাহিত্য পুরস্কারের ক্ষেত্রে এর নিরপেক্ষতা, গোপনীয়তা, গুরুত্ব, মর্যাদা ও ধারাবাহিকতা বজায় রাখার পরামর্শ দেন। পুরস্কারের ক্রেস্ট, সনদ ও উত্তরীয় গ্রহণ শেষে প্রতিক্রিয়া জানান লেখক-সম্পাদকরা। তারা স্ব-স্ব কাজের পেছনে প্রেরণাদাতাদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। চিন্তাসূত্র সাহিত্য পুরস্কার তাদের কাজের প্রতি চিন্তাসূত্রের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করেন। এজন্য তারা চিন্তাসূত্র-সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান।
আরও উপস্থিত ছিলেন কথাসাহিত্যিক দিলারা মেসবাহ, তাহমিনা কোরায়শী, হোসেন শহীদ মজনু, শেখ ফিরোজ আহমেদ বাবু প্রমুখ।
প্রাইম ইউনিভার্সিটির বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী হাসিবুর রহমান জয়ের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি জামসেদ ওয়াজেদ, আজাদ কামাল, আহমেদ শিপলু, রজত সিকস্তি, সালাহ উদ্দিন মাহমুদ, খাদিজা খানম অন্তরা, আরিফুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, শাহাদিয়া আক্তার রিয়া ও মোশাররফ হোসেন।
গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন প্রাইম ইউনিভার্সিটির বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মুক্তি রাজবংশী, চৌধুরী ইমরাতুল জান্নাত স্বর্ণা, আলিমুন খান, মাহমুদা নুসাইবা, সেতু, মীম, রূপনা ও রিয়া।