ওয়ানডে থেকে ম্যাক্সওয়েলের অবসর

ফিনিশারের ভূমিকায় খেলতেন, ওয়ানডেটা তাই তার কাছে রীতিমতো টি-২০ হয়ে উঠতো। ৫০ ওভারের ম্যাচে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ১২৬.৭১ স্ট্রাইকরেট তার প্রমাণ। ভারত বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সে রকমই একটা ইনিংস খেলেছিলেন। তার বিধ্বংসী ইনিংস এক ম্যাচ হাতে রেখেই অস্ট্রেলিয়াকে এনে দেয় সেমির টিকিট।

বিখ্যাত সেই ২০১ রানের ইনিংস খেলার পথে ম্যাক্সওয়েলের অবস্থা এমনই হয়েছিলো যে, দুটো পা নড়াতেই পারছিলেন না। যে কারণে ১২৮ বলের অপরাজিত ইনিংসে বেশিরভাগ রানই নেন বাউন্ডারি থেকে। ২৯২ রানের টার্গেট পেয়ে ৯১ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলা অজিরা ম্যাক্সওয়েল বীরত্বে ম্যাচটি জিতে নেয় ৩ উইকেটে। আশ্চর্যজনক ব্যাপার হলো, বাকি রানগুলোর মধ্যে অন্যপ্রান্তের প্যাট কামিন্স করেন মাত্র ১২।

শুধু কি ওই ইনিংস? ওয়ানডেতে দুশোর বেশি স্ট্রাইকরেটে সেঞ্চুরিও আছে ম্যাক্সওয়েলের। ৫০ ওভারের ম্যাচে অজি অলরাউন্ডারের অমন বিধ্বংসী ইনিংস আর দেখা যাবে না। ফরম্যাটটাকে বিদায় বলে দিয়েছেন তিনি। ২০২৭ বিশ্বকাপ মাথায় রেখে দলে অন্যদের জায়গা করে দিতেই এ সিদ্ধান্ত তার।

গত ফেব্রুয়ারিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি চলাকালে ম্যাক্সওয়েল প্রধান নির্বাচক জর্জ বেইলিকে অবগত করেছিলেন যে ২০২৭ সালের বিশ্বকাপ পর্যন্ত চালিয়ে যেতে পারবেন না। ফাইনাল ওয়ার্ড পডকাস্টে ৩৬ বছর বয়সি ক্রিকেটার বলেন, 'আমি তখনই তাকে সেটা বলেছি। ওই পর্যন্ত পারব না। আমার জায়গায় অন্য কারো জন্য পরিকল্পনা করার সময় এখন। আশা করি তারা পেয়ে যাবে। অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্তটি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম দুটি ম্যাচ খেলার পরেই।'

ওয়ানডে থেকে অবসর নিলেও তিনি আন্তর্জাতিক টি-২০ চালিয়ে যাবেন। তবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেননি।

ম্যাক্সওয়েল ১৪৯টি ওয়ানডে খেলে ৩৯৯০ রান করেছেন। এই ফরম্যাটে ৪টি সেঞ্চুরি ও ২৪টি হাফসেঞ্চুরি করেছেন তিনি। পাশাপাশি বল হাতে নিয়েছেন ৭৭ উইকেট। তার ওই ২০১ রানের ইনিংসের টুর্নামেন্টটি অস্ট্রেলিয়া জিতে নেয়। তিনি ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্যও।