সান্তোসের সঙ্গে মাত্র ছয় মাসের চুক্তির কারণ জানালেন নেইমার

২০১৩-১৪ মৌসুমে স্প্যানিশ জায়ান্ট এবং ক্লাব ফুটবলে রাজত্ব করতে থাকা বার্সেলোনা ব্রাজিলিয়ান ক্লাব সান্তোস থেকে তাদের দলে ভিড়িয়েছিল ২১ বছর বয়সী এক তরুণকে। অনেকেই তখন সে তরুণ ফুটবলারের পুরো নামটাও ঠিকমতো জানতো না। বার্সেলোনার একাধিক ইতিহাস গড়ার কারিগর এবং স্বর্ণালী সময়ের অন্যতম সদস্য ছিলেন এই ফুটবলার, যার নাম নেইমার ডি সিলভা সান্তোস জুনিয়র।
টানা চার মৌসুম স্পেনে নিজের প্রতিভা ও দাপট দেখিয়ে এরপর নেইমার পাড়ি জমিয়েছিলেন ফরাসি ক্লাব পিএসজিতে। বছর ছয়েক পর সবাইকে অবাক করে তিনি বদলি হন সৌদির ক্লাব আল হিলালে, যেখানে বেশিরভাগ সময় চোটের কারণে মাঠের বাইরেই কেটেছে তার সময়।
মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সৌদি থেকে বিদায় নেন নেইমার। আবারও শৈশবের ক্লাব সান্তোসে ফিরেছেন এই ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার। তবে সান্তোসের সঙ্গে তার চুক্তির মেয়াদটি মাত্র ছয় মাসের।
ব্রাজিলিয়ান এই ক্লাবটির সঙ্গে নেইমারের এক বছরের ঐচ্ছিক চুক্তির শর্ত রয়েছে। অর্থাৎ, পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে এবং নিজেকে ভালো অবস্থানে দেখতে পারলে আরও এক বছর সেখানে থাকার সুযোগ রয়েছে। ফর্মে ফিরতে পারলে ব্রাজিলের জার্সিতে ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপেও খেলার সম্ভাবনা আছে তার।
নেইমারের এখন বয়স ৩৩ বছর। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, সান্তোসের সঙ্গে কেন এত কম সময়ের চুক্তি কেন করলেন তিনি?
এ প্রসঙ্গে নেইমার বলেন, এই চুক্তি শুধু তিনি এবং সান্তোসের জন্য নয়, এটি একে অপরকে সহায়তা করার চুক্তি। সান্তোস তাকে আনন্দ নিয়ে ফুটবল খেলার সুযোগ দিয়েছে। নেইমার চান সান্তোস ঘুরে দাঁড়াক। সে কারণে লম্বা চুক্তি করেননি।
নেইমার আরও জানান এটি নবায়নেরও সম্ভাবনা রয়েছে। তার বিশ্বাস, সান্তোস আবারও ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের শীর্ষ পর্যায়ে ফিরে আসবে।
অন্যদিকে সান্তোসের হয়ে প্রথম ম্যাচে নেমেই গোলের দেখা পেয়ে আনন্দে আত্মহারা নেইমার। চোটের কারণে দীর্ঘ সময় মাঠের বাইরে থাকার পর মোট ৫০২ দিন পর সোমবারের ম্যাচে গোল আদায় করেছেন তিনি। সে ম্যাচে তার দলও তুলে নিয়েছে দারুণ এক জয়।
Comments