গাজা পুনর্গঠনে মিসরের প্রস্তাবের বাস্তবায়ন চায় আরবদেশগুলো

গাজা পুনর্গঠনের জন্য মিসরের প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন আরব নেতারা। মিশরের রাজধানী কায়রোতে গাজা পুনর্গঠনে আরব লিগের নেতারা জরুরি বৈঠক করেন। বৈঠকে গাজা নিয়ে ট্রাম্পের পরিকল্পনার বিকল্প হিসেবে মিসরের প্রস্তাবটি গ্রহণ করা হলো। এ পরিকল্পনা অনুযায়ী, গাজা পুনর্গঠনে ৫৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় হতে পারে। বৈঠকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দ্রুত এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়তা দেয়ার আহ্বান জানানো হয়। খবর রয়টার্স।
মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসি বলেছেন, কায়রোতে আয়োজিত সম্মেলনে তাদের প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। এ প্রস্তাবে হামাস স্বাগত জানিয়েছে আর ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র সমালোচনা করেছে। শাসনের বিষয়ে সিসি বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে আলোচনা করে স্বাধীন ও পেশাদার ব্যক্তিদের সমন্বয়ে একটি পরিষদ গঠনের বিষয়ে তারা আলোচনা করছেন। হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের চূড়ান্ত অবসানের পর তারা শাসনের দায়িত্ব নিতে পারেন। তিনি বলেন, দায়িত্ব নেয়ার পর ওই কমিটির দায়িত্ব হবে গাজার ত্রাণ কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করা এবং প্যালেস্টিনিয়ান অথোরিটির (পিএ) হাতে ক্ষমতা বুঝিয়ে দেয়া।
এদিকে, মিসরের প্রস্তাবকে বাস্তবতা বিবর্জিত বলে সমালোচনা করেছে ইসরায়েল। তাদের দাবি, এ প্রস্তাবনা অনুযায়ী পিএ'র ওপর অতিনির্ভরতা প্রকাশ পেয়েছে আর হামাসকে এখনও পুরোপুরি অকার্যকর করার কথা বলা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রও এ প্রস্তাবে সন্তুষ্ট হতে পারেনি।
আরব লীগের গৃহীত প্রস্তাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সমর্থন দেবেন কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে হোয়াইট হাউজ মুখপাত্র ব্রায়ান হিউজ বলেছেন, গাজা এখন বর্তমানে বাস অযোগ্য। ধ্বংসাবশেষ এবং অবিস্ফোরিত যুদ্ধাস্ত্রের মধ্যে মানুষের পক্ষে স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। গাজার এই বাস্তবতা মিসরের প্রস্তাবনা তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার আগের প্রস্তাবেই অনড় থাকবেন। তিনি হামাস মুক্ত একটি বাসযোগ্য গাজা দেখতে চান।
Comments