টানা বৃদ্ধির পর আজ সামান্য সংশোধন

গত সপ্তাহে টানা বৃদ্ধির পর আজ সপ্তাহের প্রথমদিন মিশ্র প্রবণতায় লেনদেন হয়েছে পুঁজিবাজারে। টানা ৬ কর্মদিবস সূচক বৃদ্ধির পর আজ সামান্য দর সংশোধন হয়েছে, যা বাজারের ইতিবাচকতার লক্ষণ। দর সংশোধনের ফলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে প্রধান সূচকের সামান্য পতন হয়েছে। এর আগে গত ৬ কর্মদিবসে ডিএসইএক্স সূচক বেড়েছিল ২২৯.৬৪ পয়েন্ট। আজ ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে ১.৬০ পয়েন্ট।
বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, আজ সকালে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়। কিছুক্ষণ পরেই সূচকের বড় পতন ঘটে। পরবর্তীতে আবারও একটানা সূচক উর্ধ্বমুখী হয়। এরপর সামান্য উঠানামার মধ্য দিয়ে লেনদেন হতে দেখা যায়, যা শেষ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। দিনশেষে প্রধান সূচক এবং ডিএস৩০ সূচকের সামান্য পতন হলেও ডিএস শরীয়াহ সূচকের সামান্য উত্থান ঘটেছে। আজ ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ সামান্য কমেছে। তবে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বেশিরভাগের দর বেড়েছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, আজ সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১.৬০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৬৬.৪৩ পয়েন্টে। আজ অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস ২.১০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১০৩.০৬ পয়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ০.০৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৯০৮.৫৭ পয়েন্টে।
ডিএসইতে আজ ৪০২টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নেয়। এর মধ্যে ১৭৭টির বা ৪৫ শতাংশের দর বেড়েছে, ১৭০টির দর কমেছে এবং ৫৫টির দর অপরিবর্তিত ছিল।
ডিএসইতে মোট ৬৬৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৬৭৯ কোটি ২ লাখ টাকা। লেনদেন কমেছে ১৩ কোটি ২ লাখ টাকা। লেনদেনের শীর্ষে থাকা ব্যাংক খাতে ৯১ কোটি টাকা লেনদেন হয়। যা মোট লেনদেনের ১৪ শতাংশ। এ খাতে ৬৯ শতাংশ কোম্পানির দর পতন হয়েছে। ওষুধ ও রসায়ন খাতে ৭৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়। এ খাতে ৭৫ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ৭০ কোটি টাকা লেনদেন হয়।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) আজ ৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগেরদিন ১৪ কোটি ৭১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছিল। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২১৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ১০৫টির, কমেছে ৮০টির এবং পরিবর্তন হয়নি ৩০টির।
এদিন সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৫৭.৯০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ১৩৬.১০ পয়েন্টে।
Comments