২-১ ব্যবধানে আফগানিস্তানের কাছে সিরিজ হারলো বাংলাদেশ
বড় হারে সিরিজ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজে সমতা ফেরায় টাইগাররা। তাই সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ হয়ে দাঁড়ায় অলিখিত ফাইনাল। এমন ম্যাচে আফগান ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজের সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। সেইসঙ্গে সিরিজও হাতছাড়া করেছে সফরকারীরা। অন্যদিকে ২-১ এ সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে আফগানিস্তান।
সোমবার (১১ নভেম্বর) সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। ভালো শুরু পায় বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটিতে ৫৩ রান যোগ করেন দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকার।
এরপর ৭২ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ। ফিফটির দেখা পান তারা। ২ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেছেন মাহমুদউল্লাহ।
মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে ভর করে ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৪৪ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ ৯৮ বলে ৯৮ ও মিরাজ ১১৯ বলে ৬৬ রান করেন। আফগানিস্তানের পক্ষে নাভিন উল হক নেন ৪টি উইকেট।
২৪৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দলকে ভালো শুরু এনে দেন সেদিকউল্লাহ ও গুরবাজ। মাঝে নাহিদ রানার দাপুটে বোলিংয়ে কিছুটা ধুঁকতে থাকে তারা। তবে বেশ আক্রমণাত্নক ব্যাটিং করতে থাকেন গুরবাজ।
উদ্বোধনী জুটিতে ৪১ রান সংগ্রহ করেন এই দুই আফগান ওপেনার। এরপর ১৮ বলে ১৪ রান করে নাহিদের বলে বোল্ড হন সেদিকউল্লাহ। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসা রহমতকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন গুরবাজ।
তবে দলীয় ৮৪ রানের মধ্যে আরও জোড়া উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে আফগানিস্তান। রহমত ২২ বলে ৮ ও হাশমতুল্লাহ শাহীদি ২১ বলে ৬ রান করে সাজঘরে ফিরে যান।
এরপর ক্রিজে আসা আজমতুল্লাহ ওমরজাইকে সঙ্গে নিয়ে চাপ সামাল দেন গুরবাজ। টাইগার বোলারদের ওপর চড়াও হন এই দুই ব্যাটার। অসাধারণ ব্যাটিংয়ে ১১৭ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন গুরবাজ।
ওমারজাইকে সঙ্গে নিয়ে ১০০ রানের জুটি গড়েন এই আফগান ওপেনার। দলীয় ১৮৪ রানে ১২০ বলে ১০১ রান করে সাজঘরে ফিরে যান গুরবাজ। এরপর ক্রিজে আসা গুলাবদ্দিন নাইবকে আউট করে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরানোর আভাস দেন নাহিদ। ৫ বলে ১ রান করে আউট হন নাইব।
তবে মোহান্মদ নবিকে সঙ্গে নিয়ে একপ্রান্ত আগলে রেখে ব্যাট করতে থাকেন ওমরজাই। ফিফটি তুলে নেন এই আফগান ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ১০ বল হাতে রেখে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন তাড়া। আজমতুল্লাহ ৭৭ বলে ৭০ ও নবি ২৭ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন।