সোসিয়েদাদে ধাক্কা খেলো বার্সেলোনা
যে দলটা সম্প্রতি ভুরিভুরি গোল করে জিতে আসছিল, রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে সেই বার্সেলোনাই কি না হারল অনটার্গেটে কোনো শট না করে! এর মাধ্যমে ভাঙল লা লিগায় টানা ৭ ম্যাচে জয়ের ধারাবাহিকতাও। সবশেষ তারা হেরেছিল ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে।
রোববার (১০ নভেম্বর) সোসিয়েদাদের কাছে ১-০ গোলে হেরেছে বার্সেলোনা। এটা এবারের লিগে বার্সার দ্বিতীয় হার। জয়সূচক একমাত্র গোলটি শেরাল্ডো বেকের।
ফ্লিকের অধীনে লিগে ১২ ম্যাচে ৪০ গোল করেছে কাতালান ক্লাবটি, যা দ্বিতীয় স্থানে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের চেয়েও ১৫টি বেশি। এসব বিষয় এবং ফ্লিকের অতীত সম্পর্কে জানা থাকলে বার্সার অনটার্গেটে শট ব্যতিরেকে হারার ঘটনায় যে কারো মুখ থেকে বিস্ময়ে আপনাআপনি বের হয়ে যেতে পারে 'ফ্লিকের বার্সা এভাবেও হারে'! গত মে মাসে দায়িত্ব নেয়ার পর এটাই প্রথম বার্সেলোনার গোল না পাওয়ার নজির। অথচ ৭০ শতাংশ সময় বল ছিল রাফিনহা-লেভান্ডোভস্কিদের পায়ে।
এই মুহূর্তে বার্সেলোনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য লামিন ইয়ামাল। ফিটনেসসংক্রান্ত কারণে স্প্যানিশ তরুণকে ছাড়াই সান সেবাস্তিয়ানে আতিথ্য নিয়েছিল কাতালানরা। বদলি হিসেবে দলে নেয়া হয়েছিল ফারমিন লোপেজকে, কিন্তু ইয়ামালের কিয়দংশ ঝলকও দেখাতে পারেননি তিনি।
লিগে আগের দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষকে মোট ১৮ বার অফসাইডের ফাঁদে ফেলেছিল বার্সা। সোসিয়েদাদের বিপক্ষে 'অফসাইড কিং'রাই পড়ে অফসাইডের ফাঁদে। ১৫ মিনিটে লেওয়ান্ডোভস্কির করা গোল বাতিল করে দেন রেফারি। যদিও পোলিস তারকার পা আসলেই অফসাইড লাইনের বাইরে ছিল কি না, সেটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ ফ্লিক। সংবাদ সম্মেলনে রেফারির সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে তিনি বলেন, 'আমরা গোল করেছিলাম, কিন্তু বাতিল হয়ে যায়। রেফারিকে বলেছি এটা বাজে সিদ্ধান্ত।'
বার্সার ছন্দহীনতার দিনে বারংবার আক্রমণ শাণিয়েছে সোসিয়েদাদ। ৩৩ মিনিটে গোল পায় তারা। হেডে হেডে মাঝমাঠ থেকে আসা বলের পজিশন বুঝতে পারেননি পাও কুবার্সি। জুলস কুন্দেকে ফাঁকি দিয়ে বল দখলে নেন বেকের। প্রথম টাচেই জালের দেখা পান সুরিনাম ফুটবলার, ইনাকি পেনা ঠিকঠাক ঝাঁপ দেয়ার সুযোগটুকু পর্যন্ত পাননি।
এ হারের পরও দ্বিতীয় স্থানে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে ৬ পয়েন্টের ব্যবধান নিয়ে বার্সেলোনা টেবিলটপার, ১৩ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৩৩। রিয়াল খেলেছে ১২টি ম্যাচ। সোসিয়েদাদ ১৩ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের আটে।