একাধিক বিশ্বরেকর্ড গড়ে লঙ্কানদের হারালো নিউজিল্যান্ড
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিউজিল্যান্ড কখনো ১২০ রানের কম পুঁজি নিয়ে জেতেনি। আবার শ্রীলঙ্কা প্রতিপক্ষকে ১১৫ রানের কমে বেঁধে রেখে কখনো হারেনি এই একই ফরম্যাটে। তবে রোববার (১০ নভেম্বর) ডাম্বুলায় শ্রীলঙ্কা-নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির পর রেকর্ডটি আর রইলো না। নিউজিল্যান্ডের ৫ রানের অবিশ্বাস্য জয়ে ম্যাচ শেষে বদলে গেছে দুটি রেকর্ডই।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ১০৮ রানেই অলআউট হয়েছিল নিউজিল্যান্ড। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শেষ ওভারে ৩ উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কা ১৯.৫ ওভারে অলআউট ১০৩ রানে। স্বল্প রানের নখ কামড়ানো উত্তেজনার ম্যাচটি মাত্র ৫ রানে জিতে দুই ম্যাচ সিরিজটা শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ভাগাভাগি করল নিউজিল্যান্ড।
কিউইদের জয়ের নায়ক দুজন-লকি ফার্গুসন ও গ্লেন ফিলিপস। ম্যাচের ষষ্ঠ ও অষ্টম ওভার মিলিয়ে হ্যাটট্রিক পাওয়া পেসার ফার্গুসন গুঁড়িয়ে দেন লঙ্কান টপ অর্ডার। অফ স্পিনার ফিলিপস শেষ ওভারে লঙ্কান ভরসা পাতুম নিশাঙ্কাসহ ৩ উইকেট নিয়ে শেষ পেরেকটা ঠোকেন শ্রীলঙ্কার ইনিংসে।
দলীয় ৮২ রানে ৭ উইকেট হারালেও শ্রীলঙ্কা শেষ ওভারটা শুরু করেছিল ফেবারিট হিসেবেই। ৩ উইকেট হাতে নিয়ে ৬ বলে ৮ রান দরকার ছিল দলটির। ফিলিপসের করা ওভারের প্রথম বলে ১ রান নিয়ে ৫২ রানে অপরাজিত নিশাঙ্কাকে স্ট্রাইক দিলেন মহীশ তিকশানা।
দলের প্রয়োজনটা যখন ৫ বলে ৭ রানের, লঙ্কান ওপেনার নিশাঙ্কা লং অন দিয়ে উড়িয়ে মারতে গেলেন ফিলিপসকে। সেই শটে জোর ছিল না। ফল, বদলি ফিল্ডার হেনরি নিকোলসের হাতে ক্যাচ তুলে নিশাঙ্কার বিদায়। ৫১ বলে ৫২ রান করা নিশাঙ্কা যেন বুঝে গিয়েছিলেন তীরে এসে তরী ডুবিয়ে দিয়েছেন, তাই মাঠ থেকে বেরোতে অনন্ত সময়ই নিলেন।
তবে পরের ব্যাটসম্যান মাতিশা পাতিরানা ফিরতে সময় নিলেন না মোটেই। সামনে এগিয়ে ডিফেন্ড করতে গিয়ে ভারসাম্য হারিয়ে স্টাম্পড হয়ে গেলেন পরের বলেই। এরপর নুয়ান তুষারা ফিলিপসকে হ্যাটট্রিক বঞ্চিত করার কাজটাই করতে পারলেন শুধু। এক বল পরে ক্যাচ তুলে বিদায় তিকশানার। অনেকখানি দৌড়ে গিয়ে ম্যাচে নিজের ষষ্ঠ শিকার ধরেন নিউজিল্যান্ডের উইকেটকিপার মিচেল হেই।
তাতে বিশ্ব রেকর্ডও হয়ে যায়। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক ম্যাচে এর আগে ৫টির বেশি ডিসমিসাল ছিল না কারও। মাত্রই দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা হেই ৫টি ক্যাচ নেওয়ার পাশাপাশি করেছেন একটি স্টাম্পিং।
ব্যাটিংয়ে হেইদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেছিলেন ওপেনার উইল ইয়াং। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৪ রান জশ ক্লার্কসনের। শ্রীলঙ্কান স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ১৭ রানে ৪টি ও পেসার পাতিরানা ১১ রানে নেন ৩ উইকেট।
রান তাড়ায় শ্রীলঙ্কার হয়ে নিশাঙ্কা ছাড়া দুই অঙ্কের রান করেছেন শুধু ভানুকা রাজাপক্ষে (১৫) ও তিকশানা (১৪)। দুই কিউই বোলার ফার্গুসন ও ফিলিপস ৩ উইকেট নিতে খরচ করেছেন ৭ ও ৬ রান। ফার্গুসন করেছেন ২ ওভার, ফিলিপস ১.৫ ওভার।