রিয়ালের জালে বার্সার এক হালি
উত্তাপটা ছড়িয়ে পড়েছিল ম্যাচের আগেই। এল ক্লাসিকো বলে কথা! তবে মাঠের লড়াইয়ে উত্তাপের রেশটা ছড়াতে পারল না স্বাগতিক রিয়াল মাদ্রিদ। একতরফা লড়াইয়ে গোল উৎসবে মাতলো বার্সেলোনা। একের পর এক গোলে কাঁপাল রিয়ালের জাল। গুনে গুনে চারবার রিয়ালের রক্ষণভাগ কাঁপিয়ে ৪-০ গোলের বড় জয়ে লা লিগার পয়েন্ট তালিকায় ব্যবধান বাড়িয়ে নিলো হ্যান্সি ফ্লিকের দল।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) দিবাগত রাতে রিয়ালের ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে প্রথমার্ধে কোনো দলই গোল করতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধে জোড়া গোল করেন রবার্ট লেভানডোভস্কি। একবার করে জালের দেখা পান লামিনে ইয়ামাল ও রাফিনহা ডিয়াস। চলতি মৌসুমে দলের ৩৭ গোলের ২৫টিই করলেন এই ত্রয়ী।
চেনা আঙিনায় ম্যাচের শুরুতেই সুযোগ পান এমবাপ্পে। তবে অফসাইডের ফাঁদে পড়ে যান। বার্সেলোনা ভালো সুযোগ পায় ম্যাচের ত্রয়োদশ মিনিটে। মাঝমাঠ থেকে লেভানডোভস্কির ফ্লিক ধরে বক্সে গিয়েও জাল খুঁজে নিতে পারেননি স্প্যানিশ তারকা।
পঞ্চদশ মিনিটে অবিশ্বাস্যভাবে বার্সেলোনাকে রক্ষা করেন গোলকিপার ইনাকি পেনা। জুড বেলিংহ্যামের স্লাইড গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেন বার্সেলোনা গোলরক্ষক। এই ম্যাচে বার্সার কোচের কাছে ধরা খেল রিয়াল। বায়ার্ন ম্যাচের মতো 'হাই-লাইন' ডিফেন্সে রিয়ালকে প্রথম ২০ মিনিটে ৫ বার অফসাইডে ফেলে বার্সেলোনার রক্ষণভাগ!
৩২তম মিনিটে গোল পেয়েই গিয়েছিল রিয়াল। লুকাস ভাসকেসের থ্রু বল বক্সে ঢুকে জালে পাঠিয়ে উল্লাসে মাতেন এমবাপ্পে। পরে ভিএআরে ধরে পড়ে তার অফসাইড। প্রথমার্ধের বাকি সময়েও দুই দল একের পর এক আক্রমণ করে গেলেও জালের দেখা পায়নি।
দ্বিতীয়ার্ধের ১০ মিনিটের মাথায় প্রথম গোল পায় বার্সেলোনা। ৫৪তম মিনিটে মার্ক কাসাদো মাঝমাঠ থেকে পাস দেন লেভানডোভস্কিকে। বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বক্সের বাইরে থেকে নিচু শটে জালে পাঠান পোলিশ তারকা। এর দুই মিনিট বাদেই আলেসান্দ্রো বাল্ডের ক্রসে হেডে দ্বিতীয় গোলটি করেন এই তারকা।
লা লিগার চলতি আসরে সবাইকে ছাড়িয়ে গেলেন লেভানডোভস্কি। এ নিয়ে আসরে তার মোট গোল হলো ১১ ম্যাচে ১৪টি। তার ধারেকাছেও নেই কেউ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোল ৬টি।
জোড়া গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর রিয়ালের ওপর চেপে বসে বার্সেলোনা। তারই ধারাবাহিকতায় ৭৬তম মিনিটে দলকে তৃতীয় গোল এনে দেন ইয়ামাল। রাফিনহার পাস বক্সে পেয়ে ডান পায়ের জোরাল শটে কাছের পোস্ট দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন তিনি। এই গোলে সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে ক্লাসিকোয় গোলের কীর্তিও গড়লেন ইয়ামাল (১৭ বছর ১০৬ দিন)।
আর ৮৪তম মিনিটে রিয়ালের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন রাফিনহা। ইনিগো মার্টিনেজের পাস ধরে সঙ্গে লেগে থাকা প্রতিপক্ষের একজনকে ছিটকে ফেলে, বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে গোলটি করেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। তাতেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ফ্লিকের দল।
এই জয়ে ১১ ম্যাচে ১০ জয়ে বার্সেলোনার পয়েন্ট হলো ৩০। সমান ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে গতবারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল।