প্রথম সেশনটা নিজেদের আয়ত্তে রাখল প্রোটিয়ারা
দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে অলআউট করে দিতে চেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে শুরুর এক ঘণ্টায় একটা উইকেটও তুলতে পারেনি স্বাগতিকরা। তাতে সফরকারীদের লিড ১০০ পেরিয়ে যায়। ঠিক এরপরই হাসান মাহমুদ আঘাত হানেন, জোড়া উইকেট তুলে নেন এক ওভারেই। তবে এরপরও অবশ্য সেশনটা নিজেদের করে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেশন শেষ করেছে ৮ উইকেট খুইয়ে ২৪৩ রান তুলে।
সকাল থেকে বাংলাদেশ কিছু সুযোগ তৈরি করছিল। ভিয়ান মুলডার আর কাইল ভেরেইনার ব্যাটের কোণা ছুঁয়ে বল বেরিয়ে গেলেও তা পড়ছিল ফিল্ডারদের একটু সামনে।
যে একটা বল হাতে গেছে, সেটাও রাখা যায়নি। নাঈম হাসানের বলে মুলডার ক্যাচ দিয়ে বসেছিলেন মুমিনুল হককে, তা হাত গলে বেরিয়ে যায় তার। দক্ষিণ আফ্রিকার লিডটা তাই কেবল বেড়েই চলেছিল।
তিন অঙ্ক বহু আগেই পেরিয়ে গিয়েছিল লিডটা। এর কিছু পরে হাসান আঘাত হানলেন। ১১৯ রানের জুটিটা ভাঙেন মুলডারকে সাদমান ইসলামের ক্যাচ বানিয়ে। ৫৪ রান করে ফেরেন প্রোটিয়া অলরাউন্ডার।
পরের বলে আবারও হাসানের সাফল্য। দারুণ এক বলে উপড়ে ফেলেন কেশভ মহারাজের স্টাম্প। তাতে তিনি পৌঁছে গিয়েছিলেন হ্যাটট্রিকের কাছেও। তবে শেষমেশ তা হয়নি, ড্যান পিয়েট বলটা ঠেকিয়ে দেন ভালোভাবেই।
প্রথম সেশনে উইকেটের সুযোগ আরও এসেছিল। ৬৯তম ওভারের শেষ বলে ওপাশে কাইল ভেরেইনার সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয় পিয়েটের, পিয়েট মাঝ পথে চলে এসেছিলেন পিচের, তবে বোলার হাসান মাহমুদ থ্রোটা ঠিকঠাক করতে পারেননি। ফলে আর উইকেটের দেখাও মেলেনি। বাংলাদেশ সেশনটা শেষ করেছে হাসানের ওই দুই সাফল্য নিয়েই।