ঢাকার রাজনীতিতে লন্ডন বৈঠকের রেশ

সংস্কার, জুলাই সনদ ও গণহত্যাকারীদের বিচারের দাবি ছাপিয়ে গত কয়েক সপ্তাহের রাজনীতির কেন্দ্রে নির্বাচনের দিনক্ষণ। সবশেষ, লন্ডন বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকার ও বিএনপির মধ্যে একরকম সমঝোতার পর এখন অনেকটাই ব্যাকফুটে তরুণদের দল এনসিপি। এমন অবস্থায় কোনপথে হাঁটবেন তারা?
লন্ডনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠকের রেশে চাপা উত্তেজনা, দেশের রাজনীতির ময়দানে। বিএনপি ঐতিহাসিক মুহূর্ত বললেও উল্টো সুরে কথা বলছে, জাতীয় নাগরিক পার্টি ও জামায়াতে ইসলামী। এনসিপি নেতারা প্রশ্ন তুলেছেন, সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে।
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, দেশে এর আগে আমরা দেখেছি দূতাবাস কেন্দ্রিক রাজনীতি, দলগুলো দূতাবাসে গিয়ে বিচার দিতো। এখন দেখা যাচ্ছে আপনি দেশের সমস্যা লন্ডনে গিয়ে সমাধান করছেন। এই বিষয়গুলো বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য ইতিবাচক ঘটনা না।
তিনি আরও বলেন, সংস্কার না হয়ে নির্বাচন হলে জনগণের ক্ষতি হবে এবং সেটা বিএনপির জন্যও আত্মঘাতী হতে পারে। কারণ, যারাই এই পুরনো সিস্টেমের অধীনে সরকারে বসবে তারা নানা ধরনের সমস্যার মধ্যে পড়বে এবং
এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, জুলাই সনদ, জুলাই ঘোষণাপত্র, সংস্কার এবং বিচারের মতো বিষয়গুলো এই বৈঠকে উপেক্ষিত থেকে গেছে। একইসঙ্গে নির্বাচনের সময়সীমা, কবে অনুষ্ঠিত হবে না হবে এ বিষয়গুলো বিদেশের মাটিতে ফয়সালা হওয়া বা সেখান থেকে ঘোষণা আশা বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য আমরা ইতিবাচক দেখি না।
তিনি আরও বলেন, সরকার যেনো জুলাই সনদ, জুলাই ঘোষণাপত্র, সংস্কার এবং বিচারকে বাস্তবায়ন করতে পারে সে ব্যাপারে সরকারকে সহযোগিতা প্রত্যেকটা রাজনৈতিক দলের কর্তব্য। যদি এই কর্তব্য থেকে কোনো রাজনৈতিক দল পিছপা হয় তাহলে জনগণ তাদেরকে দেখবে।
এনসিপির নেতারা আরও বলছেন, রাষ্ট্র কাঠামোর পরিবর্তন ভাবনা বাদ দিয়ে বিএনপি শুধু নির্বাচনমুখী হয়ে পড়লে, দেশে ২০১৮ সালের মতো ঘোলাটে পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
অন্যদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বৈঠকটি যুগান্তকারী, ঐতিহাসিক এবং দিকনির্দেশনামূলক বৈঠক। এটা জাতির প্রত্যাশা এবং আমাদের প্রত্যাশাও ছিলো তাই। তার মধ্য দিয়ে আমরা রুট টু ভোট অর্থাৎ ভোটের রাস্তা এবং গণতন্ত্রের রাস্তা খুঁজে পেয়েছি।
তিনি আরও বলেন, সংবিধান সংক্রান্ত সংস্কার বা সংশোধনীগুলো বাদে বাকি যে সমস্ত সংস্কারে ঐকমত্য প্রতিষ্টা হবে সেগুলো এখনই বাস্তবায়ন করা সম্ভব। এবং সকল সংস্কার বাস্তবায়ন করতে এক মাসের বেশি সময় লাগবে না। সেটা আমরা আগে অংক করে বুঝিয়ে দিয়েছি।
Comments