কিশোরগঞ্জে এএসআইয়ের হামলায় যুবক হাসপাতালে
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় ছুটিতে বাড়ি এসে নিজের চাচাতো ভাইকে নৃশংসভাবে কামড়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত করে হাসপাতালে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে আরিফুল ইসলাম নামে পুলিশের এএসআই বিরুদ্ধে।
গত রবিবার (৭ ডিসেম্বর ) রাতে এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত মোফাজ্জল হোসেনকে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহত মোফাজ্জল হোসেন ঘাগড়া গ্রামের ছফির উদ্দিনের ছেলে।
এদিকে এ ঘটনার পর পুলিশ সদস্য আহতের আত্মীয়ের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বলেছেন, "আমি পুলিশ, মারলেও আমাদের বিচার নাই!"
অভিযুক্ত আরিফুল ইসলাম মুক্তিযোদ্ধা ফয়েজ উদ্দিনের বড় ছেলে এবং বর্তমানে শরীয়তপুর জেলা পুলিশে কর্মরত।
জানা গেছে, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে রবিবার গভীর রাতে মোফাজ্জল হোসেনের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় পুলিশ সদস্য আরিফুল ইসলাম। তাকে পিটিয়ে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড়ে গুরুতর আহত করেন। আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠায়।
আহত মোফাজ্জলের অভিযোগ—"চাকরিতে ঢোকার পর থেকেই আরিফুল ও থার স্বজনরা এলাকায় আধিপত্য দেখায়। আমাকে মারার সময় সে বলে— 'আমি পুলিশ, মারলেও আমাদের কোনো বিচার নাই।' আমি প্রশাসনের কাছে এই হামলার বিচার চাই।"
এ ঘটনায় মোফাজ্জলের বড় বোন সালমা আক্তার সোমবার বিকেলে পাকুন্দিয়া থানায় একটি মামলার এজাহার দাখিল করেছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত এএসআই আরিফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস. এম. আরিফ অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন "একজন অফিসারকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
Comments