অস্ত্রের শক্তিতে ডনবাস মুক্ত করব, নয়তো ইউক্রেনের সেনারা সরে যাবে: পুতিন
ইউক্রেনীয় বাহিনী ডনবাস এলাকা থেকে সরে না গেলে রাশিয়া বলপ্রয়োগে ওই অঞ্চল পুরোপুরি দখল করবে বলে হুশিয়ারি করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ভারত সফরের আগে ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎকারে পুতিন বলেন, 'হয় আমরা অস্ত্রের শক্তিতে ডনবাস মুক্ত করব, নয়তো ইউক্রেনের সেনারা সরে যাবে।'
দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক নিয়ে গঠিত ডনবাসে রাশিয়া-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী ও ইউক্রেনীয় সেনাদের সংঘাত চলছিল দীর্ঘ আট বছর। সেই সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতেই ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে বৃহৎ সামরিক অভিযান শুরু করে।
ইউক্রেন ইতোমধ্যে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, রাশিয়ার দাবির মুখে তারা নিজস্ব ভূখণ্ড ছাড়বে না। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, 'যুদ্ধ শুরু করেছে রাশিয়া, তার জন্য তাদের পুরস্কৃত করা যায় না।'
বর্তমানে রাশিয়া ইউক্রেনের ১৯.২ শতাংশ ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। ২০১৪ সালে সংযুক্ত করা ক্রিমিয়া, পুরো লুহানস্ক, ডোনেৎস্কের ৮০ শতাংশের বেশি, খেরসন ও জাপোরিঝিয়ার প্রায় ৭৫ শতাংশ এবং খারকিভ, সুমি, মাইকোলাইভ ও ডিনিপ্রোপেট্রোভস্কের কিছু অংশ। দোনেৎস্কের প্রায় ৫ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা এখনো ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে।
যুদ্ধ থামাতে সম্ভাব্য শান্তিচুক্তির আলোচনায় রাশিয়ার অবস্থান একই- পুরো ডনবাসের নিয়ন্ত্রণ চাই মস্কো এবং যুক্তরাষ্ট্রের উচিত অনানুষ্ঠানিকভাবে তা স্বীকার করা। তবে পশ্চিমা দেশগুলো ২০২২ সালের রুশ গণভোটকে 'প্রতারণা' বলে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং অধিকাংশ দেশ এখনো এসব অঞ্চলকে ইউক্রেনের অংশ হিসেবেই স্বীকৃতি দেয়।
সম্প্রতি ক্রেমলিনে মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্টিভ উইটকফ এবং জ্যারেড কুশনারের সঙ্গে বৈঠকে পুতিন জানান, যুক্তরাষ্ট্রের কিছু প্রস্তাব রাশিয়া বিবেচনায় নিয়েছে এবং আলোচনাও চলমান। রুশ সংবাদ সংস্থা আরআইএ জানায়, বৈঠকটি ছিল 'খুব ফলপ্রসূ' এবং এটি আলাস্কায় পুতিন-ট্রাম্প আলোচনার ধারাবাহিকতা।
Comments