আদালত পর্যবেক্ষণে বললেন- রাষ্ট্রের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন তারা
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্লট দুর্নীতি মামলার পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, প্লট জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণিত। রাষ্ট্রের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন তারা। হলফনামাটাও নোটারি করে প্রত্যায়িতও করা হয়নি। এখানে রাজউক, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং আমাদের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অন্যায় করেছেন। তিনি প্রতারণা করেছেন। কেন তার টাকার প্রয়োজন, কেন তার সম্পত্তির প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন রায় পড়ার পর এ পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন।
আদালত পর্যবেক্ষণে বলেছেন, সরকারি সম্পত্তিকে তারা নিজেদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে নিয়ে নিয়েছেন। রাষ্ট্রের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। তারা সংঘবদ্ধভাবে নীতি লঙ্ঘন করেছেন। গৃহায়নের সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদে জানতেন তিনি (শেখ হাসিনা) নীতিমালা মানছেন না, তবুও তিনি তা আটকাননি।
এমন দুর্নীতি হলে সরকারি কার্যালয়ের ভেতর থেকেই কেউ যেন গণমাধ্যমকে জানিয়ে দেয়। তবেই এসব দুর্নীতি বন্ধ হবে বলেও জানান আদালত।
সরকার যদি সুপারিশ না করে তবে স্পেশাল ক্যাটাগরিতে কেউ প্লট পাবে না, সেখানেও লটারি করতে হবে। গণমাধ্যমের কারণেই এ দুর্নীতির তথ্য প্রথম উঠে আসে এবং গণমাধ্যম নিজেকে ফোর্থ স্টেট হিসেবে আবার প্রমাণ করেছে বলেও আদালত উল্লেখ করেন।
বিচারক বলেন, যে সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী হুইসেল ব্লোয়ার হিসেবে দুর্নীতির তথ্য গণমাধ্যম বা উর্ধ্বতনকে জানাবেন তাকে যেন পুরস্কৃত করা হয়।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয় যদিও পাবলিক সার্ভেন্ট না, তবে তার একটা বিষয় আমাকে কষ্ট দিয়েছে যে. হাসিনা নিজে প্লট পাওয়ার পর নিজের ছেলের জন্যও আবেদন করলেন। why she need the money, (কেন তার টাকার প্রয়োজন, কেন তার সম্পত্তির প্রয়োজন)।
উল্লেখ পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির পৃথক তিন মামলায় শেখ হাসিনার সাত বছর করে কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানা। মোট ২১ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। সাথে ৩ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১৮ মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত।
Comments