ইউনেস্কো’র বিশ্ব ঐতিহ্য সংক্রান্ত আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের নির্বাচনে বাংলাদেশের জয়লাভ
প্যারিসে সংস্থার সদর দপ্তরে ১৯৭২ সালের কনভেনশনের ২৫তম সাধারণ সভার সময় অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে বাংলাদেশ সফল হয়।
এ বছর এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য বাংলাদেশের কোন আসন বরাদ্দ না থাকায়, দেশটি উন্মুক্ত আসনে অংশগ্রহণ করে এবং কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জন করে। নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ২০২৫-২৯ মেয়াদে আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের সদস্য হওয়ার গৌরব অর্জন করল।
উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও ভারতকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম. তালহা ইউনেস্কো সাধারণ পরিষদের সভাপতি পদে নির্বাচিত হন। বিশ্ব ঐতিহ্য সংক্রান্ত পর্ষদের নির্বাচনে জয়লাভের মাধ্যমে ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সাফল্য অব্যাহত থাকে। রাষ্ট্রদূত তালহা ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত ইউনেস্কোর বিভিন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সবকটিতে জয়লাভ করেছেন।
জয়লাভের পর প্রতিক্রিয়ায় রাষ্ট্রদূত তালহা বলেন, ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের সাফল্য একক ঘটনা নয়। এটি আমাদের ধারাবাহিক কূটনৈতিক প্রচেষ্টা এবং অন্য দেশের আস্থা ও সমর্থনের ফল।
তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং প্যারিস দূতাবাসের সকল কর্মীদের এই নির্বাচনী কাজে সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।
বাংলাদেশ ১৯৭২ সালের কনভেনশন থেকে এই সংস্থার সদস্য হওয়ার পর থেকে তিনটি সাংস্কৃতিক এবং একটি প্রাকৃতিক ঐতিহ্যকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে নিবন্ধিত করেছে। সর্বশেষ ১৯৯৭ সালে সুন্দরবনকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে নিবন্ধন করা হয়। নির্বাচনের এই সাফল্য বাংলাদেশের নেতৃত্ব ও কূটনৈতিক সক্ষমতার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বিশ্ব ঐতিহ্য সংক্রান্ত আন্তঃরাষ্ট্রীয় পর্ষদের নির্বাচনকে সবচেয়ে কঠিন নির্বাচন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বাংলাদেশ ২০২৬ সালের জুন মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে অনুষ্ঠিত ৪৮তম সভায় যোগদানের মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু করবে।
Comments