কাল থেকে অনলাইনে মেট্রোরেলের র্যাপিড পাস ও এমআরটি কার্ড রিচার্জ
এখন আরও ঝামেলাহীন মেট্রোরেলে ভ্রমণ। স্টেশনের লাইনে দাঁড়ানোর প্রয়োজন নেই। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস কার্ড ঘরে বসেই অনলাইনে রিচার্জ করা যাবে। মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার থেকে র্যাপিড পাসের ওয়েবসাইটে গিয়ে রিচার্জ করতে পারবেন যাত্রীরা।
আগামীকাল বেলা পৌনে ১১টায় আগারগাঁও মেট্রোস্টেশনে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন সড়ক ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. শেখ মইনউদ্দিন।
সমন্বিত ই-টিকিটিং ব্যবস্থা চালু এবং ভাড়া আদায় সহজ করতে ডিটিসিএ 'র্যাপিড পাস' চালু করেছিল। এবার তারাই অনলাইনে কার্ড রিচার্জের নতুন ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করছে। একই সঙ্গে এমআরটি পাসেও একই সুবিধা পাওয়া যাবে। বর্তমানে দুটি স্থায়ী কার্ড ব্যবহৃত হচ্ছে—র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস।
ডিটিসিএ জানিয়েছে, অনলাইন রিচার্জের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে মেট্রোর ১৬টি স্টেশনে দুটি করে মোট ৩২টি এভিএম (অ্যাড ভ্যালু মেশিন) বসানো হয়েছে। যাত্রীরা অনলাইনে রিচার্জ করার পর স্টেশনে এভিএম মেশিনে কার্ড স্পর্শ করলেই রিচার্জ সক্রিয় হবে। অনলাইনে ১০০ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত রিচার্জ করা যাবে। ব্যাংক কার্ড, নগদ, বিকাশ, রকেটসহ সব এমএফএস ও ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহার করা যাবে। এ ছাড়া আগামী এক মাসের মধ্যে অ্যাপসের মাধ্যমে রিচার্জ সুবিধা যুক্ত হবে।
অনলাইনে র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস কার্ড রিচার্জ করবেন কীভাবে
র্যাপিড পাস বা এমআরটি পাস কার্ড থাকতে হবে এবং সেটি রেজিস্ট্রেশন করা থাকতে হবে। রেজিস্ট্রেশন না থাকলে rapidpass.com.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এরপর এই ওয়েবসাইটের রিচার্জ অপশনে গিয়ে অর্থ প্রদানের মাধ্যম বেছে নিয়ে পরিমাণ লিখতে হবে। সফল লেনদেনের বার্তা পাওয়ার পর যেকোনো মেট্রো স্টেশনে এভিএম মেশিনে কার্ড ট্যাপ করলেই রিচার্জের টাকা যুক্ত হবে।
এছাড়া রিচার্জ বাতিলের ক্ষেত্রে কয়েকটি নিয়ম প্রযোজ্য হবে। ব্যবহারকারী চাইলে এভিএমে কার্ড ট্যাপ করার আগে এবং রিচার্জের তারিখ থেকে সাত দিনের মধ্যে বাতিলের অনুরোধ করতে পারবেন। রিচার্জ বাতিল হলে নির্ধারিত ৫ শতাংশ সার্ভিস চার্জ কেটে নেওয়া হবে। এছাড়া কার্ড ব্ল্যাক লিস্ট থাকার কারণে যদি পেন্ডিং ট্রানজেকশন আপডেট না হয়, তবে গ্রাহক রিফান্ডের আবেদন করতে পারবেন, তবে সে ক্ষেত্রেও একই হারে— ৫ শতাংশ সার্ভিস চার্জ প্রযোজ্য হবে।
ডিটিসিএ কর্মকর্তারা জানান, যাত্রীদের সময় ও ঝামেলা কমাতেই অনলাইন রিচার্জ চালু করা হচ্ছে। আগে কাউন্টার বা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে রিচার্জ করতে হতো, কিন্তু এখন ডিজিটাল পদ্ধতিতে সহজেই অর্থ যোগ করা যাবে। এতে যাতায়াত আরও নিরবচ্ছিন্ন হবে। মেট্রোরেল চালুর পর থেকে যাত্রীরা স্বল্প সময়ে র্যাপিড পাস ব্যবহার করে যাতায়াতের সুবিধা পাচ্ছেন। অনলাইন রিচার্জ যুক্ত হওয়ায় ডিজিটাল সেবার পরিধি আরও বাড়বে।
বর্তমানে প্রায় ১৬ লাখ গ্রাহক র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস ব্যবহার করছেন।
Comments