বাংলা সঙ্গীতে সায়েন্স ফিকশন মিউজিক্যাল মুভি তৈরি করলেন আবদুল্লাহ আল মাসুম
বাংলা সঙ্গীতে সায়েন্স ফিকশন মিউজিক্যাল মুভি (ব্লেন্ড উইথ লাভ এন্ড ফিলিংস) রিলিজ হলো ফেসবুক ও আবদুল্লাহ আল মাসুম এর ইউটিউব চ্যানেলে। দর্শকরা বিভিন্ন স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলেও গানটি দেখতে পাবেন৷ গানটিতে সাতজন মডেল কাজ করেছেন। হলিউড মুভির মতো সব দৃশ্যায়ন। গানটি চমকপূর্ণ, গানটির শিরোনাম 'আগামির পৃথিবী'। পঞ্চাশ বছর পরের পৃথিবী, সমাজ ব্যবস্থা,জীবন, চিন্তা এসব নিয়ে এই গান!
গানটির বিষয় প্রযুক্তি, রোবটিক ওয়ার্ল্ড বনাম হিউম্যান ইমোশন এন্ড ফিলিংস। গানটির ব্যপ্তি ৫ মিনিট ৩৩ সেকেন্ড।
গানটিতে দেখা যাবে রোবট পৃথিবী চালাচ্ছে, তবুও পৃথিবীতে মানুষ তার হৃদয়ের স্পন্দন নিয়ে কথা বলছে। বিরহ, ভালোবাসা, প্রিয় মানুষের ফিরে আসার প্রত্যাশা এসব নিয়ে আকুতি। গানটিতে দেখানো হয়েছে পৃথিবীর সব ধর্ম মারা গেলেও প্রেম অবিনশ্বর। রোবট আকাশে ওড়া গাড়ি চালাচ্ছে। উড়োজাহাজ চালাচ্ছে। বিজ্ঞানীরা মৃত মানুষকে বাঁচিয়ে তুলছে, অন্য গ্রহে মানুষ বাসা বাঁধছে।
মাইন্ড রীডার দিয়ে একে অপরের মনের কথা খোলা বইয়ের মতো পড়তে পারছে, হলোগ্রাফিক স্ক্রীন ব্যবহার করছে, আকাশে গাড়ি উড়ছে, ইত্যাদি সব দৃশ্যায়ন করা হয়েছে,যা অত্যন্ত উঁচু মানের ফোরকে রেজুলেশান। ভবিষ্যতে দি আবদুল্লাহ আল মাসুম পরিচালিত কোনো মুভিতে গানটি স্থান পেতে পারে।
গানটিতে দি আবদুল্লাহ আল মাসুম আটটিটি ভূমিকায় কাজ করেছেন। কথা, সুর, ভিডিও সম্পাদনা, দৃশ্য ভাবনা, নির্দেশনা,মূল মডেল হিসেবে অভিনয়, স্ক্রীপ্টিং, এনিমেশান সব একক ভাবে নিজে হাতে করেছেন।
প্রতিটি দৃশ্যের লাইটিং, ফ্রেমিং,কালার,ব্যাকগ্রাউন্ড,ক্যারেকটার,ক্যামেরা মুভমেন্ট, শর্ট ডিভিশন,এনিমেশান সবই তার নিজে হাতে করা ৷
দি আবদুল্লাহ আল মাসুম গান প্রসঙ্গে বলেন, হলিউডের ডিরেক্টররা তো পৃথিবীর অত্যন্ত মেধাবী সৃষ্টিশীল, প্রতিভাবান হিসেবে সর্বজন গৃহীত। আমি একটি মিউজিকাল মুভিতে যতোগুলো কাজ সম্পাদন করেছি, হলিউডের কোনো ডিরেক্টর একক মেধা দ্বারা এতো গুলো সৃজনশীল ভূমিকা এক সাথে রেখে দেখাতে পারেনি অদ্যাবধি। এ আমার কোনো আত্মদম্ভ নয়। এ আমার প্রাপ্য স্বীকৃতির আগাম সংকেত'।
তিনি আরো বলেন, আমি ৩০০ নতুন গান সৃষ্টি করছি, ৪০ টি অডিও কমপ্লিট হয়েছে। নতুন বহু মডেল, গীতিকার ও কন্ঠশিল্পীকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সুযোগ করে দেয়া হবে। উল্লেখ্য, শিশুসাহিত্য ও সাংবাদিকতা দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি ২৫ বছর পূর্বে, ২০০৯ সালে একটি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে ওয়ার্ল্ড টিভি চ্যানেলটির টেষ্ট ট্রান্সমিশন চালান ৫৬ দেশে। যে কোনো স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলের জন্য থাকবে কপি রাইট ফ্রী।
ইউটিউব থেকে সরাসরি ডাউনলোড করে যে কেউ প্রচার করতে পারবেন।
আবদুল্লাহ আল মাসুম সৃষ্টিশীল কাজের পাশাপাশি এগারোটি রাষ্ট্রের বৃহৎ পনেরোটি কোম্পানির এডভাইজার, কনসালটেন্ট, ব্রান্ড এম্বাসেডর হিসেবে কাজ করছেন।
Comments