‘বাংলাদেশকে জড়িয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করছে’
ভারতের নয়াদিল্লিতে জঙ্গি হামলার ঘটনায় বাংলাদেশকে জড়িয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদকে 'ভিত্তিহীন' বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভারতের গণমাধ্যম সবসময় দোষ চাপানোর চেষ্টা করে। এসব কথার কোনও ভিত্তি নেই, বিশ্বাসেরও কোনও কারণ নেই। তৌহিদ হোসেন আরও বলেন, কোনও বিবেকবান মানুষ এসব সংবাদ বিশ্বাস করবে না।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার বিচার নিয়ে জাতিসংঘ কোনও মন্তব্য করেনি। এ বিষয়ে জাতিসংঘ কিছু বললে সরকার সে অনুযায়ী উত্তর দেবে। সম্প্রতি মার্কিন থিংক ট্যাংক 'থিংক টোয়াইস অ্যাক্ট'-এর প্রতিবেদনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ভারসাম্যের নীতিতে বিশ্বাস করে। চীন থেকে অস্ত্র কিনলে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ার সম্ভাবনা তিনি দেখছেন না।
এদিকে সকালে নয়াদিল্লির ঐতিহাসিক লালকেল্লার কাছে মেট্রো স্টেশনের গেট নম্বর ১-এর সামনে একটি গাড়িতে শক্তিশালী বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১৩ জন নিহত এবং ২৪ জন আহত হয়েছেন। বিস্ফোরণের তীব্রতায় আশপাশের গাড়িতেও আগুন ধরে যায় ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সড়কে ছড়িয়ে ছিল মানব শরীরের অংশ-অঙ্গ।
পুলিশ জানায়, গাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনায় ওই গাড়ির মূল মালিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, হুন্দাই আই২০ গাড়ির ভেতর ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
দিল্লির পুলিশ কমিশনার সতীশ গোলচা সাংবাদিকদের বলেন, ধীরে চলা একটি গাড়ি লাল সিগন্যালে থেমেছিল। সেই গাড়িতেই বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের কারণে আশপাশের আরও কয়েকটি গাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, গাড়িটির মূল মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই গাড়ি এখনো তার নামেই নিবন্ধিত রয়েছে।
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি ২০১৩ সালে গাড়িটি কিনেছিলেন। পরে তিনি গাড়িটি দিল্লির আরেক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করেন। ওই ব্যক্তিও আবার সম্প্রতি গাড়িটি অন্য আরেকজনের কাছে বিক্রি করেছেন। গাড়িটির সর্বশেষ ক্রেতাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ১৩ তে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডেকেছেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
Comments