কথা রেখেছেন আসিফ মাহমুদ, রাখেনি বাফুফে
বাংলাদেশ নারী ফুটবল ও অনূর্ধ্ব-১৮ নারী হকি দলের ঐতিহাসিক সাফল্যের পুরস্কার অবশেষে তাদের হাতে তুলে দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। গতকাল সকালে ক্রীড়া পরিষদের সভাকক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এনএসসির নির্বাহী পরিচালক কাজী নজরুল ইসলাম দুই দলের সদস্যদের হাতে চেক তুলে দেন।
চলতি বছরের জুলাইয়ে মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত এএফসি নারী এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে অপরাজিত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবারের মতো মূলপর্বে জায়গা করে নেয় আফঈদা খন্দকারের দল। সেই অর্জনের পর গত ৭ জুলাই যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ঘোষণা দিয়েছিলেন-নারী ফুটবল দলকে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। গতকাল ফুটবলারদের হাতে সেই অর্থ পৌঁছে দিয়ে কথা রাখলেন তিনি।
নারী ফুটবল দলে খেলোয়াড় ছিলেন ২৩ জন। তাদের সঙ্গে ছিলেন ৮ জন কোচিং স্টাফ ও কর্মকর্তা। মোট ৩১ জনের হাতে ৫০ লাখ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়। একই মাসে চীনের দাজহু শহরে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৮ এশিয়া কাপ হকিতে প্রথমবার অংশ নিয়ে ব্রোঞ্জ জিতে ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৮ নারী হকি দল। তাদের জন্যও ২১ লাখ টাকার পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন আসিফ মাহমুদ। সেই অর্থও গতকাল তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
হকি দলে ছিলেন ১৮ জন খেলোয়াড়সহ কোচ, ম্যানেজার ও ফিজিও মিলিয়ে মোট ২১ জন। প্রত্যেকের হাতে ১ লাখ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাফুফের সহ-সভাপতি সাব্বির আহমেদ আরেফ, সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার এবং বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) রিয়াজুল হাসানসহ আরও অনেকেই।
নারী সাফ চ্যাম্পিয়ন দলকে দেড় কোটি টাকার পুরস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তারা। কিন্তু এক বছর পেরিয়ে গেলেও সেই অর্থ এখনো ফুটবলারদের হাতে পৌঁছেনি। এমনকি এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে ঐতিহাসিক যোগ্যতা অর্জনের পরও বাংলাদেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে কোনো আর্থিক পুরস্কার মেলেনি। যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে সাফল্য এলে তাৎক্ষণিক পুরস্কার দেওয়ার রীতি তৈরি করেছেন।
অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের এশিয়া কাপ জয়, অনূর্ধ্ব-২১ হকি দলের বিশ্বকাপ নিশ্চিতকরণ, নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ও অনূর্ধ্ব-২০ সাফ জয়; প্রতিটি ক্ষেত্রেই খেলোয়াড়রা দ্রুত প্রণোদনা পেয়েছেন। তবে ভিন্ন চিত্র বাফুফের ক্ষেত্রে। নারী সাফ চ্যাম্পিয়ন দলকে দেড় কোটি টাকার পুরস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তারা। কিন্তু এক বছর পেরিয়ে গেলেও সেই অর্থ এখনো ফুটবলারদের হাতে পৌছেনি।
এমনকি এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে ঐতিহাসিক যোগ্যতা অর্জনের পরও বাংলাদেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে কোনো আর্থিক পুরস্কার মেলেনি। শুধু হাতিরঝিলে এক বর্ণাঢ্য সংবর্ধনাই ছিল তাদের সব প্রাপ্তি। তাই ক্রীড়া পরিষদের এই পুরস্কার হাতে পেয়ে ফুটবলার ও হকি খেলোয়াড়রা খুশি। কারণ আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া প্রতিবারের মতো এবারও কথা রেখেছেন, যা বাফুফে রাখেনি।
Comments