শাপলা প্রতীক পেতে অনড় এনসিপি, ইসিকে আবারো চিঠি
শাপলা প্রতীক পেতে অনড় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এজন্য নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) আবারও চিঠি দিয়েছে দলটি। এবার জাতীয় প্রতীকে দৃশ্যমান শাপলার পরিবর্তে ভিন্ন ভিন্ন কয়েকটি ভার্সনে আঁকা শাপলার নমুনা ছবি যুক্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠি ইসি সচিবের কাছে পাঠিয়েছে দলটি।
এনসিপি তাদের চিঠিতে বলেছে, গণমানুষের সঙ্গে শাপলা প্রতীক কেন্দ্রিক গভীর সংযোগ স্থাপিত হয়েছে এবং এটি ব্যতীত ইসির দেওয়া তালিকা থেকে অন্য কোনো প্রতীক পছন্দ করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের গঠিত কমিটি ১৫০টি নতুন প্রতীক অন্তর্ভুক্ত করার চূড়ান্ত খসড়া প্রস্তুত করে। তালিকায় 'শাপলা' প্রতীক রয়েছে বলে এনসিপিকে আশ্বস্ত করেন কমিটির একজন সদস্য। এ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমেও সংবাদ প্রকাশিত হয়। ২২ জুন এনসিপি রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের জন্য আবেদন দাখিল করে এবং দলের অনুকূলে 'শাপলা' প্রতীক সংরক্ষণের জন্য আবেদন জানায়।
৩ আগস্ট শাপলা, সাদা শাপলা অথবা লাল শাপলাকে প্রতীক হিসেবে দেয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেয় এনসিপি। এছাড়া শাপলার ভিন্ন ভিন্ন ভার্সন গ্রহণ করার ক্ষেত্রে এনসিপি সবসময় আলোচনায় প্রস্তুত রয়েছে বলে জানানো হয়। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে এনসিপির পরবর্তী বৈঠকে প্রতীক হিসাবে শাপলাকে দৃশ্যমান করার ক্ষেত্রে জাতীয় প্রতীকে দৃশ্যমান শাপলার পরিবর্তে ভিন্ন ভিন্ন কয়েকটি ভার্সনে আঁকা শাপলার নমুনা ছবি নির্বাচন কমিশনের কাছে উপস্থাপন করা হয়।
পরবর্তীতে বিগত ২৪ সেপ্টেম্বর এনসিপি নির্বাচন কমিশনের কাছে সংশ্লিষ্ট বিধিমালা সংশোধনক্রমে শাপলা প্রতীক তালিকাভুক্ত করে দলের অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে চিঠি দেয়। কিন্তু দুটি চিঠির বিষয়ে নির্বাচন কমিশন অদ্যাবধি কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। ৩০ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন চিঠি পাঠিয়ে প্রতীক ভিন্ন ছবির তালিকা দেয়।
এর আগে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবীসহ সারাদেশের ১০১ জন বিজ্ঞ আইনজীবী শাপলাকে প্রতীক হিসাবে বরাদ্দ দিতে কোনো আইনি বাধা নেই বলে বিবৃতি দিয়েছেন। সম্প্রতি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ঠিকানা টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট করে বলেন, 'শাপলা প্রতীক এনসিপিকে না দেওয়াটা খুব বেশি আইনের জটিলতা বলে মনে করি না। এটা দেয়া যেতেই পারে। দেয়নি বলে ভবিষ্যতেও দেয়া যাবে না, এমনটি আমি মনে করি না।'
Comments