সাংবাদিক মেরেছি, ওনারে মারতে কি আমার সময় লাগে’? কোটালীপাড়ার বহিস্কৃত বিএনপি নেতা

সাংবাদিক লাঞ্চিত ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সম্প্রতি বহিস্কৃত বিএনপি নেতা আবুল বশার হাওলাদার বাচ্চু বলেছেন, আমি উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ছিলাম। কয়েকদিন আগে কোটালীপাড়ার সাংবাদিক হাসান-মিজানকে মারার অপরাধে আমাকে বরখাস্ত করছে। আমি ভালো মন্দ বোঝা দিয়েই বিএনপি করি। আওয়ামী লীগের আমলে এ পর্যন্ত ৪৩টি মামলা খেয়েছি। হাসান-মিজানকে মারতে পারলে ওনারে (মানিক লাল ভট্টচার্য ওরফে কালু ঠাকুর) মারতে কি আমার সময় লাগে?
এভাবেই দম্ভোক্তি করে কথাগুলো বলছিলেন গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা বিএনপির বহিস্কৃত দপ্তর সম্পাদক আবুল বশার হাওলাদার বাচ্চু।
বিএনপির বহিস্কৃত দপ্তর সম্পাদক আবুল বশার হাওলাদার বাচ্চু উপজেলার চিতশী গ্রামের মৃত আব্দুল বারেক হাওলাদারের ছেলে। অপরদিকে মানিক লাল ভট্টাচার্য (কালু ঠাকুর) উপজেলার তারাশী গ্রামের মৃত সুধারঞ্জন ভট্টাচার্যের ছেলে।
সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে স্থানীয় ঘাঘর বাজারের মানিক লাল ভট্টচার্য (কালু ঠাকুর) নামে এক ব্যবসায়ীর দোকান ঘর দখলের অভিযোগ সর্ম্পকে জানতে চাওয়া হলে তিনি ওই উক্তি করে বলেন, কালু ঠাকুর যে দোকান ঘরটি নিজের বলে দাবি করছেন সেটি আমার কেনা সম্পত্তি।
মানিক লাল ভট্টাচার্য (কালু ঠাকুর) বলেন, আমি কোটালীপাড়া থানাধীন ৫২নং কয়খা মৌজার ৫৪৭নং বিআরএস খতিয়ানে ঘাঘর বাজারের কাঠ পট্টিতে দলীলমূলে ক্রয়কৃত ২০শতাংশ জায়গায় ৩টি দোকানঘর তুলে ২৭বছর যাবত ব্যবসা করে আসছি। ৫ আসস্টের পরে বিএনপি নেতা আবুল বশার হাওলাদার বাচ্চু আমার একটি দোকানঘর দখল করে নিয়েছে। আমি দোকান ঘরের কাছে গেলে সে আমাকে মারধর ও জীবনাশের হুমকি দেয়। এ বিষয়ে আমি থানায় অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাইনি।
পাশের দোকানের কর্মচারী ওবায়দুল মোল্লা বলেন, এই দোকানটি কালু ঠাকুরের বলে আমরা জানতাম। এখন বিএনপি নেতা আবুল বশার হাওলাদার বাচ্চু তার বলে দাবি করছেন।
কোটালীপাড়া থানার ওসি খন্দকার হাফিজুর রহমান বলেন, যতদূর খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম, আমি এই থানায় যোগদান করার আগে মানিক লাল ভট্টাচার্য (কালু ঠাকুর) অভিযোগটি করে ছিলেন। তিনি নতুন করে একটি অভিযোগ দিলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৬আগস্ট একটি প্রকাশিত সংবাদের সূত্রধরে বিএনপি বহিস্কৃত নেতা আবুল বশার হাওলাদার বাচ্চু লোকজন নিয়ে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি এইচ এম মেহেদী হাসানাত ও দৈনিক কালের কন্ঠের প্রতিনিধি মিজানুর রহমান বুলুকে শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করেন।
Comments