মুকসুদপুরে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে উপজেলা বিএনপির সংবাদ সম্মেলন

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে পায়ে হাটার রাস্তা নিয়ে দুই পরিবারের দ্বন্দ্বের জেরে বিএনপি নেতার হুকুমে ঘর ভাঙ্গার অভিযোগ এবং মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলা বিএনপি।
আজ সোমবার দুপুরে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বাসস্ট্যান্ডে উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুস সালাম খান ও সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম রাজু। এ সংবাদ সম্মেলনে মুকসুদপুর পৌর বিএনপির সভাপতি আবুল বাশারসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা এবং জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুস ছালাম খান বলেন, উপজেলার প্রভাকরদী গ্রামে মোশারেফ শেখ মুসা ও মোনায়েম খানের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। বিষয়টি মীমাংসার জন্য গত ২৭ সেপ্টেম্বর শালিস বৈঠকের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু মোশারেফ শেখ মুসা ২৬ সেপ্টেম্বর একটি গণমাধ্যমে উপজেলা বিএনপির নেতাদের হুকুমে তার পাঁচটি ঘর ভাঙচুর ও তাদের কাছে চাঁদা দাবি করা হয়েছে বলে ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করান। যেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। একটি পক্ষ রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করার জন্য মোশারফকে দিয়ে এ বক্তব্য দিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতি আমার অনুরোধ আপনারা সরজমিনে গিয়ে সত্যতা যাচাই করুন। যদি এর সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে আইনের যে শাস্তি হবে মাথা পেতে নেব। সাংবাদিকদের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রদানের পর থেকে মোশারফ গা ঢাকা দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সামনে জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন মেজবা ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম মনোনয়ন প্রত্যাশী। এরমধ্যে সেলিমুজ্জামান সেলিমের নেতৃত্বে উপজেলা বিএনপি সুসংগঠিত। ঈর্ষান্বিত প্রতিপক্ষরা বিএনপিকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
একই সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম রাজু বলেন, বলেন, বিএনপির নেতৃবৃন্দকে দেড় লক্ষ টাকা দিয়েছে মোশারেফ শেখ মুসা। এটা সম্পূর্ণ মিথ্য ও বানোয়াট। বিষয়টি তদন্ত করে দেখার অনুরোধ জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে মোশারেফ শেখ মুসার বাড়ি গেলে তাকে বাড়ি পাওয়া যায়নি। কথা হয় তার স্ত্রী মর্জিনা বেগমের সাথে। ঘর ভাঙচুরের বিষয়ে তার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ঘর ভাঙ্গেনি তবে প্রতিপক্ষ মোনায়েম খান লোকজন নিয়ে ঘর ভেঙ্গে দেবে বলে হুমকি দিয়েছিল। তবে মোনায়েমের সাথে আমাদের জমি নিয়ে বিরোধ ছিল যেটি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি মীমাংসা করে দিয়েছে সেখানে আমাদের কিছু টাকা খরচ হয়েছে।
এ বিষয়ে মোনায়েম খান বলেন, আমি মোশারেফ শেখ মুসার ঘর ভাঙ্গার কোন হুমকি দেইনি। তার বাড়ির পাশ দিয়ে আমাদের পাড়ার চল্লিশটি পরিবার চলাচলের পথ। সবাই যাতে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারি সেজন্য একটু জায়গা ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ করেছিলাম। তিনি যে অভিযোগ করেছে উদ্দেশ্যে প্রণোদিত মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
Comments