সম্প্রীতির শহর রাজশাহীতে মহাসমারহে মহাসপ্তমী পূজা অনুষ্ঠিত

শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাসপ্তমী আজ রাজশাহী মহানগরীর রামকৃষ্ণ আশ্রম মন্দিরসহ জেলার সব মন্দিরেই সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে সপ্তমী পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। পূজামণ্ডপে নবপত্রিকা স্থাপনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এদিনের আনুষ্ঠানিকতা।
'নবপত্রিকা' শব্দটির আক্ষরিক অর্থ ৯টি গাছের পাতা। কদলী বা রম্ভা (কলা), কচু, হরিদ্রা (হলুদ), জয়ন্তী, বিল্ব (বেল), দাড়িম্ব (দাড়িম), অশোক, মান ও ধান— এই ৯টি উদ্ভিদকে পাতাসহ একটি কলাগাছের সঙ্গে একত্র করা হয়। নবপত্রিকার আরেক নাম হলো কলা বৌ স্নান।
নবপত্রিকার ৯টি উদ্ভিদ প্রকৃতপক্ষে দেবী দুর্গার ৯টি বিশেষ রূপের প্রতীকরূপে বিবেচনা করা হয়। এই ৯ দেবী একত্রে 'নবপত্রিকাবাসিনী নবদুর্গা' নামে 'নবপত্রিকাবাসিন্যৈ নবদুর্গায়ৈ নমোঃ' মন্ত্রে পূজিত হন।
ষষ্ঠী থেকে দূর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলেও আজ মহাসপ্তমী থেকেই মূল পূজা শুরু। কাল মঙ্গলবার মহাষ্টমী ও কুমারীপূজা এবং বুধবার মহানবমী শেষে বৃহস্পতিবার বিজয়া দশমী ও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনের শারদীয় দুর্গোৎসব।
রাজশাহী রামকৃষ্ণ আশ্রম মন্দিরের পুরোহিত বলেন, সনাতন বিশ্বাস ও পঞ্জিকামতে, এবার জগতের মঙ্গল কামনায় দেবী দুর্গা গজে (হাতি) চড়ে স্বর্গালোক থেকে মর্ত্যলোকে (পৃথিবী) আসবেন (আগমন); যার ফল হিসেবে বসুন্ধরা শস্যপূর্ণা হয়ে উঠবে। দেবী স্বর্গালোকে বিদায় (গমন) নেবেন দোলায় (পালকি) চড়ে; যার ফল হচ্ছে মড়ক। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রোগ ও মহামারির প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাবে।
Comments