মেসিময় জয় ইন্টার মায়ামির

সিয়াটল সাউন্ডার্সের বিপক্ষে ইন্টার মায়ামির জার্সিতে গোলে ফেরেন লিওনেল মেসি। চারদিনের ব্যবধানে আবারও আর্জেন্টাইন মহাতারকার ঝলক। বলতে গেলে ইন্টার মায়ামি আজ (রোববার) মেসিময় দিন পার করেছে। তার জোড়া গোল ও অ্যাসিস্টে ডিসি ইউনাইটেডকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে ফ্লোরিডার ক্লাবটি।
আজ ভোরে ঘরের মাঠ চেজ স্টেডিয়ামে দাপুটে পারফরম্যান্সই দেখিয়েছে মায়ামি। যদিও যোগ করা সময়ে ব্যবধান কমিয়ে ডিসি ইউনাইটেড নাটকীয়তার আভাস দিয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত আর মেসি-ডি পলদের সঙ্গে পেরে উঠেনি। মায়ামির পক্ষে মেসি জোড়া গোল করার পাশাপাশি তাদেও আলেন্দের গোলটিতে অ্যাসিস্ট করেছেন। বিপরীতে ডিসি ইউনাইটেডের হয়ে গোল করেন ক্রিস্টিয়ান বেনটেকে ও জ্যাকব মারেল।
ম্যাচে ৬৩ শতাংশ পজেশন রেখে ১৭টি শট নেয় মায়ামি, যার ৭টি লক্ষ্যে ছিল। বিপরীতে ১০ শটের মধ্যে ৬টি লক্ষ্যে রাখতে পারে ডিসি ইউনাইটেড। প্রথমার্ধের ৩৫ মিনিটেই তাদেও আলেন্দের গোলে লিড পায় হাভিয়ের মাশ্চেরানোর দল। নিজেদের অর্ধ থেকে দূরপাল্লার পাস বাড়ান মেসি, যা ধরে ইউনাইটেডের বক্সে ঢুকে গোলরক্ষকের পাশ দিয়ে বল জালে জড়ান তিনি। মায়ামিতে প্রথম বছরেই এটি আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডারের অষ্টম গোল। অন্যদিকে, এমএলএসের চলতি মৌসুমে ১২তম অ্যাসিস্ট হয়ে গেল মেসির।
প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়া ইউনাইটেড ম্যাচে ফেরে ৫৩তম মিনিটে। সতীর্থ ব্রেন্ডন সার্ভানিয়ার কোনাকুনি ক্রসে মাথা ছুঁয়ে বল জালে জড়ান ক্রিস্টিয়ান বেনটেকে। ২০২৪ সালে এই তারকা এমএলএসের গোল্ডেন বুট পেয়েছিলেন, এবার পেলেন মৌসুমের নবম ও সবমিলিয়ে ৪৭তম গোল। অবশ্য ইউনাইটেডের স্বস্তি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ১৩ মিনিট বাদেই স্কোরশিটে নাম তোলেন মেসি। ডিফেন্ডার জর্দি আলবার পাস ধরে বক্সের ভেতর থেকে মাটি কামড়ানো শটে তিনি গোলটি করেন।
৮৫ মিনিটে আসে আর্জেন্টাইন মহাতারকার চিরচেনা বাঁ-পায়ের শট। তবে কোনাকুনি নয়, সার্জিও বুসকেটসের পাস পেয়ে বক্সের মাথা থেকে আলতো শট নেন মেসি। যাতে লাফিয়েও ইউনাইটেড গোলরক্ষক নাগাল পাননি। এটি চলতি মৌসুমে মেসির ২২তম গোল, গোল্ডেন বুটের দৌড়ে তার সামনে আছেন কেবল একজন, ন্যাশভিলের স্যাম সারিজ। নির্ধারিত সময়ের সপ্তম মিনিটে মারেলের গোলে ইউনাইটেড ফের ব্যবধান কমায়। তবে খানিক বাদেই রেফারির শেষ বাঁশিতে তাদের ৩-২ গোলের হার নিশ্চিত হয়।
মায়ামির ওসকার উস্তারি এবং ডিসি ইউনাইটেডের গোলরক্ষক লুইস বারাজা উভয়েই চারটি করে সেভ করেছেন। নইলে দুই দলেরই স্কোরশিটে আরও গোল যোগ হতে পারত। এই জয়ে এমএলএসের ইস্টার্ন কনফারেন্সে পঞ্চম স্থানে রয়েছে ইন্টার মায়ামি। ২৮ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৫২। তবে সামনে থাকা দলগুলো ইতোমধ্যে ২-৩টি ম্যাচ বেশি খেলেছে। ৩১ ম্যাচে ৬০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়ন।
Comments