হেঁচকি কেন ওঠে, থামাবেন কীভাবে?

প্রায় সবারই হেঁচকি উঠে থাকে। কেউ হেঁচকি বলেন, কেউবা আবার হিক্কা নামে পরিচিত। হেঁচকি হয়নি এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। হেঁচকি ওঠা যেমন বিরক্তিকর অভিজ্ঞতা, তার থেকেও বড় বিষয় এটি অনেক সময় খুবই কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
সাধারণত হেঁচকি ওঠলে কিছুক্ষণ পর আপনাআপনিই তা ঠিক হয়ে যায়। তবে অনেক সময় তা দীর্ঘস্থায়ীও হয়ে থাকে। যা রোগাক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়। রোগাক্রান্তদের নানা সমস্যা থাকার কারণে হেঁচকি ওঠা বা তাদের দীর্ঘসময় এটি থাকার প্রবণতা দেখা যায়। কিন্তু এই হেঁচকি কেন ওঠে এবং কীভাবে তা থামানো যায়―এ প্রশ্ন অনেকের। এ ব্যাপারে একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের পরিপাকতন্ত্র ও লিভার রোগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ জাকির হোসেন।
এ চিকিৎসক জানিয়েছেন, কিছু অসাবধানতা থেকেই হেঁচকি ওঠতে পারে। যেমন- তাড়াহুড়ো করে খাবার খাওয়া, পানি পান, খাবার খাওয়ার সময় কথা বলা বা অন্যদিকে মনোযোগ দেয়া। এছাড়া হঠাৎ ভয় পাওয়া, জোরে হাসা, আবেগ-উত্তেজনার মতো কারণেও অনেক সময় হেঁচকি ওঠে। আবার শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণেও হতে পারে।
হেঁচকি থামাতে পারে এমন কিছু উপায়:
শ্বাস নিয়ে যত সময় সম্ভব বন্ধ রেখে ধীরে ধীরে প্রশ্বাস ছেড়ে দেখতে পারেন। এভাবে কয়েকবার করুন। বিরতি দিয়ে বারবার করুন। এতে হেঁচকি ওঠা বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কাগজের ব্যাগ দিয়ে কিছুক্ষণ মাথা ও মুখ ঢেকে শ্বাস নিন এবং ছাড়ুন। এভাবে একাধারে কয়েকবার করুন। এ ক্ষেত্রে সাবধান থাকতে হবে, কখনো পলিথিনের ব্যাগ ব্যবহার করা যাবে না।
নাক-মুখ বন্ধ রেখে নিশ্বাস ফেলার চেষ্টা করুন। ভালসালভা মেনুভার বলা হয় এই প্রক্রিয়াকে। এটি কয়েকবার করুন। তাতে কার্যকরী ফল পেতে পারেন। এছাড়া ঠান্ডা পানি পান বা গরম দুধ পান করতে পারেন। আবার চাইলে এক চামচ চিনি জিবে নিয়ে কিছুক্ষণ পর তা গিলে খাওয়ার চেষ্টা করুন। অথবা নাক চেপে ধরে পানি পান করুন। এতে হেঁচকি ওঠা বন্ধ হতে পারে। তবে হ্যাঁ, হেঁচকি যদি দুইদিনের মধ্যে না থামে বা বন্ধ না হয়, তাহলে পরিপাকতন্ত্র ও লিভার বিশেষজ্ঞ বা একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
Comments