চন্দ্রবীণা

একদিন গোধূলির শেষে
আমি শুনেছিলাম আকাশে ভেসে আসা অদৃশ্য সুর—
যেন নক্ষত্ররা বীণার তারে তারে
নিজেদের ক্ষয়কে গেঁথে তুলছে।
মানুষ তখনও খুঁজছে
মন্দির, মহাকাশ, কিংবা যুদ্ধের জয়,
কিন্তু আমি কেবল দাঁড়িয়ে রইলাম
সেই নিঃশব্দ সুরের কাছে বদ্ধমূল হয়ে।
অনেক সভ্যতা ভেঙে পড়লো,
নতুন ভাষা জন্ম নিলো,
তবু আকাশের তারারা
অপরিবর্তনীয় কোনো গোপন লিপি লিখে চললো।
আমি মাঝে মাঝে ভাবি—
আমার শরীর হয়তো ধুলো হয়ে যাবে,
তবু সেই সুর থেকে যাবে,
যেন কারও অশ্রুর ভেতরে
অদেখা চাঁদের প্রতিধ্বনি।
যদি একদিন তুমি ফিরে আসো,
তবে সেই প্রতিধ্বনি শুনে চিনবে আমায়—
না দেহে, না রক্তে,
বরং কেবল এক অদৃশ্য চন্দ্রবীণা হয়ে,
যার প্রতিটি কম্পনে
তুমি হয়ে থাকবে শাশ্বত।
Comments