চাঁদপুরের হাইমচরে এই প্রথম গণেশ পূজা উদযাপন

চাঁদপুরের হাইমচরে প্রথমবারের মতো বৃহৎ পরিসরে গণেশ পূজা উদযাপন করেছেন স্থানীয় সনাতনী ভক্তবৃন্দরা। অঞ্জলি প্রদানের মাধ্যমে কয়েক হাজার ভক্তবৃন্দের মধ্যে মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হয়।
২৭শে আগস্ট বুধবার দিনব্যাপী গণেশ পূজার আয়োজন করতে দেখা যায় চরভৈরবী হরি ও রক্ষা কালী মন্দিরে।
জানা যায়, হাইমচর উপজেলার ৬ নং চরভৈরবী ইউনিয়নের চরভৈরবী পুরাতন বাজারে ১৯৪০ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ শাসনামলে হরি ও রক্ষা কালী মন্দির স্থাপিত হয়।চরভৈরবী বাজারটি ২০০৪ সালে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার পর সেখানকার সনাতন ধর্মালম্বীরা বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটে বসতি স্থাপন করে। দীর্ঘ ১৭ বছর মন্দিরের সকল কার্য বন্ধ থাকলেও ২০২১ সালে পুরাতন বাজারের সকল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রচেষ্টায় পুনরায় মন্দির টি চরভৈরবী ইউনিয়নে ৩ নং ওয়ার্ডের নতুন বাজারর স্থাপন করে সনাতনী বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান পরিচালনা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রথমবারের মতো বৃহৎ পরিসরে আরম্ভ করলেন গণেশ পূজা।
পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক, অপু পোদ্দার ও সভাপতি, নিধু বনিক সহ স্থানীয়রা বলেন, দীর্ঘদিন পর আমরা সবাই একসাথে এই প্রথমবারের মতো গণেশ পূজার আয়োজন করেছি। যা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করতে উৎসাহ জোগাবে। আমরা ২০০০ এর অধিক ভক্তবৃন্দের মধ্যে দুপুরে মহা প্রসাদ বিতরণ করেছি। আশপাশের সকল ধর্মের সবার সহযোগিতায় উৎসব মুখর পরিবেশে পূজার কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি ।
মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক, শংকর বনিক ও সভাপতি, লক্ষণ পোদ্দার বলেন, মন্দিরটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার পর সবাইকে একত্রিত করে পুনরায় মন্দির স্থাপন করে হরি ও রক্ষাকালী পূজার মধ্য দিয়ে আমাদের কার্যক্রম শুরু করি। এরপর থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মন্দিরের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ভবিষ্যতে দুর্গা পূজা করারও পরিকল্পনা রয়েছে। মন্দিরের সদস্য কম হলেও আশেপাশের অঞ্চলের ভক্তবৃন্দের সহযোগিতায় অনুষ্ঠান পরিচালনা করতে কোন ধরনের অসুবিধা সম্মুখীন হচ্ছি না।
হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, অমিত রায় বলেন, হাইমচর উপজেলায় সনাতন ধর্মালম্বীদের বেশ কয়েকটি মন্দির থাকলেও এই মন্দিরে অনেক ভক্তবৃন্দের সমাগম হয়। কোন ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যতে না ঘটে সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই উপজেলা প্রশাসনের বিশেষ নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।
Comments