ফরিদপুরের সালথায় কলেজ কর্মচারীর রহস্যজনক মৃত্যু

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের ইউসুফদিয়া গ্রামে মো. শাহজাহান মাতুব্বর (৪০) নামে এক কলেজ কর্মচারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৫ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টার দিকে গ্রামের ইজারা পাড়ার শিপন মাতুব্বরের বাড়ির একটি কক্ষের খাটের ওপর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সকালে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত শাহজাহান একই গ্রামের মৃত রুহুল আমীনের ছেলে এবং সালথার নবকাম পল্লী কলেজে অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিপন মাতুব্বরের বাড়িতে শাহজাহানের মরদেহ বিছানায় পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে এবং পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মর্গে পাঠায়।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার সকালে শাহজাহান বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর আর ফিরে আসেননি। প্রথমে তারা ভেবেছিলেন তিনি কলেজে গেছেন। পরে কলেজ ও আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে খোঁজ নিয়েও কোনো সন্ধান পাননি। শেষ পর্যন্ত সোমবার দুপুরে সালথা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন পরিবারের সদস্যরা।
প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে মরদেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ওসি মো. আতাউর রহমান। তিনি বলেন, "মৃত্যুর কারণ নির্ধারণে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এটি হত্যা, আত্মহত্যা, নাকি অন্য কোনো কারণে মৃত্যু হয়েছে, তা এখনই নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।"
এলাকাবাসীর মধ্যে এ ঘটনা নিয়ে রহস্য ও আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। কেউ কেউ এটিকে হত্যাকাণ্ড বলে সন্দেহ করলেও অনেকে মনে করছেন, এটি আত্মহত্যাও হতে পারে। পুলিশ ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শাহজাহানের পরিবার ও সহকর্মীরা তার অকাল মৃত্যুতে গভীরভাবে মর্মাহত। তদন্তের অগ্রগতির ওপর সবার দৃষ্টি নিবদ্ধ রয়েছে।
Comments