সেই দুপুরটা আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ স্মৃতি: আজমেরী হক বাঁধন

গত বছরের ৫ আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসে স্মরণীয় এক দিন। গণ–অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছাড়েন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আন্দোলনের শুরু থেকে দৃশ্যমান ছিলেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। কখনো সোশ্যাল মিডিয়ায়, কখনো শিল্পীদের ব্যানারে রাজপথে দাঁড়িয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন তিনি।
এক বছর পেরিয়ে গেছে সেই ঘটনার। বিশেষ এই দিনকে কেন্দ্র করে আগস্টের শুরু থেকেই সামাজিক মাধ্যমে আন্দোলনের স্মৃতি ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করছেন বাঁধন। তার পোস্টগুলোতে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে, ৫ আগস্ট ২০২৪ তার জীবনের সবচেয়ে আবেগঘন ও স্মরণীয় দিন। অভিনেত্রী মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকালে ফেসবুকে দেয়া একটি পোস্টে বাঁধন লেখেন, আমি এই দিনটি চিরকাল মনে রাখব। ৫ আগস্ট ২০২৪-এর সকাল ভয় আর আশায় ভরা, কিন্তু সাহস আর দৃঢ়তায় পূর্ণ ছিল। কী এক অভিজ্ঞতা! কী এক মুহূর্ত! এই দিনটা আমার জীবনের ইতিহাসে চিরদিনের জন্য খোদাই হয়ে থাকবে।
কয়েক ঘণ্টা পর তিনি আরও একটি পোস্টে লেখেন, ৫ আগস্টের দুপুরে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোই তার জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান স্মৃতি। তার ভাষায়, যখন শুনি শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন, জনতার চাপে তিনি দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন তখন জনতার মাঝে যে গর্জন, যে বিস্ফোরণ দেখেছি, তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। সেই অনুভূতি যারা রাজপথে ছিলেন, তারাই বোঝেন। এটা কেবল বাসায় বসে বা ফোন স্ক্রল করে বোঝা সম্ভব নয়।
বাঁধন আরও লেখেন, সেই মুহূর্তে পুরো জাতি যেন একসঙ্গে জেগে উঠেছিল। কেউ কাঁদছিল, কেউ হাসছিল, কেউ নাচছিল, কেউ স্লোগান দিচ্ছিল। বাতাসে ছিল স্বাধীনতার বিদ্যুৎ। সেই দুপুরটাই আমার জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান স্মৃতি হয়ে আছে। আমি গর্বিত বাংলাদেশের মানুষদের নিয়ে। কী এক বিজয়! কী এক অসাধারণ সাফল্য।
প্রসঙ্গত, গণ–আন্দোলনের সময় থেকে পরবর্তী সময় পর্যন্ত বাঁধনের সরব উপস্থিতি নজর কেড়েছিল দেশজুড়ে। রাজপথে সরব ভূমিকা এবং অনলাইনে তার কথামালায় স্পষ্ট হয়েছিল দেশ ও মানুষের প্রতি গভীর ভালোবাসা। বছর ঘুরে সেই স্মৃতিগুলো আজও তার মনে এক গর্বের অধ্যায় হয়ে রয়ে গেছে।
Comments