বড়াইগ্রামে বিএনপি কর্মীদের দ্বারা অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন

নাটোরের বড়াইগ্রামে খলিশা ডাঙ্গা ডিগ্রী মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) সিদ্দিকুর রহমানকে বিএনপির কর্মীরা লাঞ্ছিত, অপদস্থ করার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার দুপুরের দিকে নাটোর-পাবনা মহাসড়কের ধানাইদহ বাজারে ধানইদহ গ্রামবাসী এই কর্মসূচীর আয়োজন করেন। একই সঙ্গে তাঁরা এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এসময় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, খলিশা ডাঙ্গা ডিগ্রী মহাবিদ্যালয়ের গভারিং বোডির হিতেশী সদস্য মোক্তাদির আহমেদ রাসেল, দাতা সদস্য মাহফুজুর রহমান মিল্টন, অভিভাবক সদস্য আশরাফ আলী, উপজেলা সেচ্চাসেবক দলের আহবায়ক মিজানুর রহমমান মিজান, ধানাইদহ গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মালেক, আব্দুল্লাহ আল মামুন, প্রভাষক মাহবুবুর রহমান সুজন প্রমূখ।
মোক্তাদির আহমেদ রাসেল বলেন, গত সোমবার (২৮ জুলাই) নগর ইউনিয়ন বিএনপির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি ও ধানাইদহ গ্রামের বাসিন্দা আসাব সরকার, বিএনপি কর্মী মিজানুর রহমান, নাহিদ হোসেন, আজিম উদ্দিন, কয়েন গ্রামের ফাহিম সরকার, ফয়সাল সরকার, আসাদ আলী, সাইফুল ইসলাম, পাচবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল মান্নানসহ ১০ থেকে ১২ জন খলিশা ডাঙ্গা ডিগ্রী মহা-বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষের কক্ষে প্রবেশ করে কলেজ পরিচালনা গভানিং বডি বাতিলের জন্য জোড় পুবর্ক কাগজে সাক্ষর নেয়। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। আমরা এই ধরনের কর্মকান্ডের প্রতিবাদ যানাচ্ছি ও জড়িতদের শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।
সেচ্চাসেবক দলের আহবায়ক মিজানুর রহমমান মিজান বলেন, বিএনপির এই ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডকে সমর্থন করে না। এই সকল বিএনপির নাম ধারীরা গত ৫ আগষ্টের পর থেকে নগর ইউনিয়নে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের রাজত্ব কয়েম করেছে। আমরা এই সকল সন্ত্রাসীর দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবী জানাচ্ছি।
ধানাইদহ গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মালেক বলেন, আমাদের গ্রামে অবস্থিত এই মহাবিদ্যালয়টির সম্মান কিছু সন্ত্রাসী দ্বারা নষ্ট হতে পারে না। আমরা এই সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি। এই ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহন করা না হলে আগামীতে কঠোর আন্দেলনের কর্মসূচী দেওয়া হবে।
অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, প্রায় ১০ মাস যাবত আমি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দ্বায়ীত্ব পালন করছি। গত এপিল মাসের ২৮ তারিখে গড়মাটি গ্রামের বাসিন্দা শাহেন আলীকে গভারনিং বডির সভাপতি করে ১২ সদস্যের কমিটি অনুমোদন করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। হঠাৎ করে কিছু লোকজন জোড় পুর্বক সেই কমিটি বাতিলের জন্য কাগজে সাক্ষর নেয়। আমি এই সকল সন্ত্রাসীদের শাস্তির দাবী করছি।
বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Comments