ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে চেলসি-পিএসজি

ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনাল আজ। মুখোমুখি পিএসজি-চেলসি। পুরো আসরে আধিপত্য ধরে রেখে দু'দলই শিরোপার যোগ্য দাবিদার। প্রথমবার ৩২ দলের আসরে ইতিহাস গড়তে চায় পারিসিয়ান-ব্লুরা। সাড়ে ৮২ হাজার আসনের মেটলাইফ স্টেডিয়ামে হবে ফাইনাল। যেটা কিনা ২০২৬ বিশ্বকাপেরও ফাইনালের ভেন্যু। রাত ১টায় শুরু ম্যাচ।
দীর্ঘ ১ মাস, ৬৩ ম্যাচের টুর্নামেন্ট। নতুনত্বকে সঙ্গী করে আলোচনা-সমালোচনা পেছনে ফেলে, এবার শিরোপা উদযাপনের অপেক্ষা। ৩২ ক্লাব থেকে যেই দাবিদার শুধুই চেলসি-পিএসজি।
ইউরোপের দুই পাওয়ার হাউজ, মর্যাদার লড়াইয়ের সামনে দাড়িয়ে। মৌসুমে পঞ্চম শিরোপা জয়ের হাতছানি পারিসিয়ানদের। সেখানে চেলসির সুযোগ দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তোলার।
কোয়ার্টার ও সেমিতে ইউরোপের দুই পরাশক্তি বায়ার্ন এবং রিয়ালকে হারিয়ে শিরোপার মঞ্চে পিএসজি। যে পথে চেলসির বাধা হতে পারেনি দুই ব্রাজিলিয়ান ক্লাব পালমেইরাস ও ফ্লুমিনেন্স।
তবে মাঠের খেলায় দু'দলই যে সমীহ করছে একে অপরকে। ফাইনালের আগে দুই কোচ ট্যাকটিসের পসরা সাজিয়ে বসেছে।
পিএসজি কোচ লুইস এনরিকে বলেন, আমি চেলসিকে দেখেছি। তারা কনফারেনস লিগ জিতেছে, মারেৎস্কা সেরা কোচদের একজন। একই সঙ্গে তাদের বেশ কয়েক ভালো ফুটবলার রয়েছে। যেখানে পিএসজির সাফল্য দলীয় নীতিতে। ব্যাক্তিগত তারকাদের পারফরম্যান্সে নয়।
চেলসি কোচ মারেৎস্কা বলেন, আমি অনেকের সঙ্গে একমত। পিএসজি শুধু ইউরোপ নয়, বিশ্বেরও অন্যতম সেরা ক্লাব। তাদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা রয়েছে। তবে আমরাও ফাইনাল জিততে এসেছি।
কার্ড নিষেধাজ্ঞায় উইলিয়ান পাচো ও লুকাস হার্নান্দেজকে পাচ্ছেন না কোচ লুইস এনরিকে। শঙ্কা থাকলেও পুরোপুরি ফিট উসমান দেম্বেলে। মধ্য মাঠে ভিতিনহা, জোয়াও নেভেস ও ফ্যাবিয়ান রুইজ যেকোন দলের জন্যই ভয়ের নাম। সঙ্গে দিজিরে দুয়ে, দেম্বেলে ও কাভারাৎসখেলিয়ারা আছেন সেরা ফর্মে।
অন্যদিকে স্বস্তি চেলসি শিবিরে, সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার লিভাই কলউইল ও স্ট্রাইকার লিয়াম ডিলাপ ফাইনালে ফিরছেন। রিস জেমসকে নিয়েও আছে সু-সংবাদ। তবে গোড়ালির ইনজুরিতে শঙ্কায় মইসেস কাইসেদো।
রিস জেমস বলেন, আমার মনে হয় এই ম্যাচটা হবে অন্য লেভেলের। বর্তমানে পিএসজি অন্যতম সেরা দল। তবে এটা ফাইনাল, এর আগেও এমন চাপ আমরা নিয়েছি।
মারকুইনহোস বলেন, আমরা এই ম্যাচের গুরুত্ব জানি। এখন থেকে চার বছর পরপর এই টুর্নামেন্ট আসবে। আমাদের সুযোগ এসেছে শিরোপা জয়ের। যা কাজে লাগাতে চাই।
নবমবারের মতো মুখোমুখির অপেক্ষায় দু'দল। আগের আট দেখায় ৩ জয় পিএসজির, দুটি জিতেছে চেলসি। বাকি তিন ম্যাচ ড্র। যদিও শেষ চারটিতে কোন জয় নেই ব্লুদের।
তবে এসব সংখ্যা মাত্র, সাফল্যের উত্তর আসবে মেটলাইফ স্টেডিয়ামে, যার হাতে উঠবে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের স্মারক।
Comments