উল্লাপাড়ার রেলওয়ে ওভারপাসে নেই স্ট্রিট লাইট, রাত হলেই বাড়ছে চুরি-ছিনতাই

উল্লাপাড়া রেলওয়ে ওভারপাস ব্রিজে দীর্ঘদিন ধরে কোনো স্ট্রিট লাইট না থাকায় সন্ধ্যা নামলেই অন্ধকারে ঢেকে যায় পুরো এলাকা। ফলে পথচারী ও যানবাহন চলাচলকারীদের পড়তে হচ্ছে চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে। এই সুযোগে ওভারপাস এলাকাটি এখন চুরি ও ছিনতাইয়ের নিরাপদ আশ্রয়ে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
রাতের বেলা ওভারপাস দিয়ে চলাচল করা যেন রীতিমতো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। স্থানীয়রা বলছেন, স্ট্রিট লাইট না থাকায় দুর্বৃত্তরা সহজেই টার্গেট বেছে নিচ্ছে এবং পালিয়ে যাচ্ছে অন্ধকারের সুযোগে।
পাবনার এক ট্রাক চালক মজুন মিয়া জানান,"সন্ধ্যার পর এই পথে চলা খুবই ভয়ানক। অনেকেই মোবাইল, ব্যাগ বা টাকা ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন। অথচ যদি পর্যাপ্ত লাইট থাকত, তাহলে এমনটা হতো না। এছাড়াও লাইট না থাকার কারনে অন্ধকারে গাড়ি চালানোও কষ্ট।
জানা যায়, ২০১৯ সালে টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অভারপাস ব্রীজ নির্মানের কাজ পায় মঈন উদ্দিন বাঁশি লিমিটেড নামে একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। পরবর্তীতে কাজটি ৮৩ কোটি টাকা দিয়ে কিনে নেয় এরোষ্টকেট প্রোপাইটেজ লিমিটেড। ২০২৪ সালের মাঝামাঝিতে কাজ শেষ করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি।
এ বিষয়ে এরোষ্টকেট প্রোপাইটেজ লিমিটেডের প্রজেক্ট ম্যানেজার খাইরুল ইসলাম বলেন,ব্রীজের সকল কাজ শেষ করে কর্মচারীরা ঈদের ছুটিতে যায়। ছুটি কাটিয়ে এসে দেখে ব্রীজের লাইট জ্বালানোর সকল ইলেকট্রনিক চুরি হয়ে গেছে। পরবর্তীতে ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকার চুরি হয়ে যাওয়া সকল মালামাল কিনে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ইমরান ফারহান সুমেল বলেন, বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকার কারনে লাইট জ্বালানো যাচ্ছে না। তবে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মালামাল কিনে দিয়েছে সেটি আমাদের হেফাজতে রয়েছে। এছাড়া বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে আবেদন করা হয়েছে খুব দ্রুতই ব্রীজে লাইট জ্বালানো হবে।
Comments