বিশ্ব রাজনীতিতে সংঘাত: নতুন আতঙ্কে বিনিয়োগকারীরা

বিশ্বরাজনীতির উত্তপ্ত পরিস্থিতির সরাসরি প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে। যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক ইরানে সামরিক হামলার খবরে আজ পুঁজিবাজারে বড় ধরনের পতন দেখা গেছে। গত কয়েকদিনে বাজার একটু ভালোর দিকে গেলেইও দেশের বা বিশ্বের কোন নেতিবাচক খবর বাজারকে আবার আগের অবস্থায় নিয়ে যায়। যাতে করে বিনিয়োগকারীদের আস্থার ভিত নাড়িয়ে দেয়। বাজার বিশেষজ্ঞরা বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত না হয়ে সময়োপযোগী ও তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় প্রধান সূচকের পাশাপাশি কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদরও। লেনদেনও কমে গেছে আশংকাজনক হারে।
সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। সকাল থেকেই বাজারে বিক্রির চাপ বাড়তে থাকে এবং বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এই পতন আরও তীব্র হয়ে ওঠে। দিনের শেষভাগে হুড়মুড় করে আরও পড়ে যায় সূচক।
আজ ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ৭৯ পয়েন্ট কমে গেছে, যা একদিনে বড় ধরনের পতনের ইঙ্গিত দেয়। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা সাধারণত বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি করে, যার প্রতিফলন দেখা গেছে আজকের লেনদেনে।
এদিন ডিএসইতে মাত্র ১৬টি প্রতিষ্ঠানের দর বেড়েছে, বিপরীতে ৩৬৫টির বা ৯১ শতাংশ কোম্পানির দরপতন হয় এবং ১৬টির দর অপরিবর্তিত ছিল। দিনশেষে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৭১ কোটি ৭০ লাখ টাকার, যা আগের দিনের ৩০৫ কোটি টাকার ৩৪ কোটি টাকা কম। খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত লেনদেনের শীর্ষে থাকলেও সব খাতেই ছিল দরপতনের প্রবণতা।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) আজ বড় ধরনের সূচক পতন দেখা গেছে। অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। বিক্রির চাপে লেনদেন বেশি হলেও সূচকের পতন হয়েছে। সিএসইতে আগের দিন যেখানে লেনদেন হয়েছিল ১১ কোটি ২৩ লাখ টাকার, আজ তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ কোটি ৩৫ লাখ টাকায়।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত না হয়ে সময়োপযোগী ও তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
Comments