বাণিজ্য চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রকে চীনের কড়া হুঁশিয়ারি

চীন-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক উত্তেজনার পারদ আবারও বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বাণিজ্য চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে চীন। বেইজিংয়ের অভিযোগ, শি জিনপিংকে দেয়া প্রতিশ্রুতি রাখেননি ট্রাম্প। দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানায়, চীনের স্বার্থে যদি যুক্তরাষ্ট্র আঘাত করে তবে জোরালোভাবে তা প্রতিহত করা হবে।
সম্প্রতি সিঙ্গাপুরের এক সামিটে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথের চীনের বিরুদ্ধে বিতর্কিত এক মন্তব্য ঘিরে আবারও চীন-যুক্তরাষ্ট্র দ্বন্দ্বে নতুন হাওয়া লাগে। অনুষ্ঠানটিতে তিনি চীনকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি হিসেবে আখ্যা দিয়ে এশীয় দেশগুলোকে সতর্ক করেন।
হেগসেথের এমন মন্তব্য ছাড়াও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে বাণিজ্যিক চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এসব অভিযোগের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চীন। হেগসেথের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রই এশিয়ার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি বলে দাবি করে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন অস্ত্র মোতায়েন, নজরদারি এবং চীনা দ্বীপপুঞ্জে উসকানিমূলক তৎপরতার অভিযোগ তুলেছে বেইজিং।
চীনা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অভিযোগে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র চীনা কোম্পানির জন্য চিপ ডিজাইন সফটওয়্যার বিক্রি বন্ধ করেছে, হুয়াওয়ের চিপ ব্যবহার না করার হুমকি দিয়েছে এবং চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক পদক্ষেপে মে মাসের চুক্তি এবং জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও ট্রাম্পের ফোনালাপের সিদ্ধান্ত ভঙ্গ হয়েছে বলে অভিযোগ চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের।
বেইজিং ওয়াশিংটনকে অবিলম্বে তার ভুল পদক্ষেপগুলো সংশোধন এবং চীনের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক নিষেধাজ্ঞা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। এছাড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে, যদি যুক্তরাষ্ট্র তার নিজস্ব পথে চলতে থাকে এবং চীনের স্বার্থের ক্ষতি করতে থাকে, তাহলে বেইজিং তার বৈধ অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায় দৃঢ় ও জোরালো পদক্ষেপ নেবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, চীনের প্রতি এশিয়ার মনোভাব ইউরোপের তুলনায় অনেকটাই মিশ্র। অনেক দেশ দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও বেইজিংয়ের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখতে আগ্রহী।
Comments