হতাশা নিয়েই শেষ হলো সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস

বাজারে স্থিতিশীলতা ফেরানো, বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধার এবং বাজার ব্যবস্থাপনায় কাঙ্ক্ষিত সংস্কার ও কার্যকর পদক্ষেপের জন্য আজ বৃহস্পতিবার (২২ মে) প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায়) ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরীর সঙ্গে শেয়ারবাজার-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিনিয়োগকারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের উচ্চ পর্যায়ের একটি বহুল প্রত্যাশিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। বৈঠকের খবর ছড়িয়ে পড়ায় গত দুই দিন ধরে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা আশাবাদ কাজ করছিল। এরই প্রতিফলন দেখা যায় গত দুইদিনের বাজার পরিস্থিতিতে । মঙ্গলবার ডিএসইর প্রধান সূচক বেড়েছিল ১৯ পয়েন্ট, আর বুধবার যুক্ত হয় আরও ৬ পয়েন্ট।
তবে আজ বৈঠকের দিনটি বিনিয়োগকারীদের জন্য হতাশা বয়ে এসেছে। আলোচনার দিন উভয় শেয়ারবাজারে সব সূচক কমেছে। ডিএসইর সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স ১৮.২০ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৭৮৫ পয়েন্টে। অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচকও কমেছে ১৪.৫৯ পয়েন্ট।শুধু সূচকের পতন নয়, আজ ডিএসইর লেনদেনেও ছিল বড় ধরনের ভাটা। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে মাত্র ২৫৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা, আগের দিন যেখানে লেনদেন হয়েছিল ৩২৬ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, বাজার ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা, দক্ষ নেতৃত্ব, নীতিগত স্থিরতাও আইনের শাসন নিশ্চিত না হলে বাজারে বারবার এমন অস্থিরতা ফিরে আসবে।
এদিন ডিএসইতে মোট ৩২৬ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। গত কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিলো ২৯৭ কোটি ৭১ লাখ টাকার শেয়ার।আজ লেনদেন হওয়া ৩৯৯ টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২৭ টির, কমেছে ১০৫ টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৭ টি কোম্পানির শেয়ারদর। এদিন ৫০ শতাংশ কোম্পানির দরপতন হয়।
৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়ে ওষুধ ও রসায়ন খাত লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে। এ খাতে মাত্র ৩৫ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। খাদ্য খাতে ৩১ কোটি টাকা এবং প্রকৌশল খাতে ২৯ কোটি টাকা লেনদেন হয়। বিচ হ্যাচারির ১৫ কোটি, ওরিয়ন ইনফিউশনের সাড়ে ১১ কোটি, স্কয়ার ফার্মার ১০ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। সবগুলো শেয়ারের দরপতন হয়। দরবৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসে সোনারগাঁও টেক্সটাইল, বসুন্ধরা পেপার মিল, বেঙ্গল উইন্ডসর, এইচ আর টেক্স, এসআলম কোল্ড রোলড। দরপতনে ছিল ইউনাইটেড ফাইন্যান্স, দুলামিয়া কটন, আইএফআইসি ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড।
সিএসইতে সিএসসিএক্স এবং সিএএসপিআই সূচক ১৪ পয়েন্ট করে কমেছে। লেনদেন হওয়া ১৯০ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭৯টির, কমেছে ৭৭টির। অপরিবর্তিত ছিল ৩৪টির দর। লেনদেন হয় প্রায় ৮ কোটি টাকা।
Comments