মোংলা বন্দরে শ্রমিকদলের প্রস্তুতি সভায় উত্তেজনা

মোংলা বন্দরের শ্রমিক রাজনীতিতে ফের উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। মে দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের প্রস্তুতি সভায় হামলার অভিযোগ উঠেছে তিতুমীর নামে এক সাবেক শ্রমিক নেতা ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে।
বুধবার (২৯ এপ্রিল) মোংলা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে বাগেরহাট জেলা যুবদলের সদস্য ও মোংলা পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র মো. আলাউদ্দিন বলেন, "তিতুমীরের নেতৃত্বে এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত হামলা। উদ্দেশ্য ছিল শ্রমিক ঐক্য বিনষ্ট করে মোংলা বন্দর অচল করা।" তিনি আরও অভিযোগ করেন, "তারা এখন বলছে—তিনজন অপহৃত হয়েছে। অথচ এদের কারো খোঁজ বা প্রমাণ নেই। বরং এনসিপি ঢাকায় মিছিল করে পুরো বিষয়টি ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা করছে এবং নিখোঁজের ঘটনা ছড়িয়ে হাস্যরসে পরিণত করেছে "।
আলাউদ্দিন জানান, তিতুমীর ২০০৫ সালে গোল্ডেন হ্যান্ডশেক নিয়ে অবসরে যান এবং পরে শ্রমিক সমাজে চাঁদাবাজি, মাদকাসক্তি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যুক্ত হয়ে পড়েন। সংবাদ সম্মেলনে আরও দাবি করা হয়, তিতুমীরের সঙ্গে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের দোষর এবং প্রভাবশালী কিছু শ্রমিক নেতা জড়িত, যারা নেপথ্যে কলকাঠি নাড়ছেন।

এ বিষয়ে তিতুমীরের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এদিকে, ঘটনার পরিপ্রেক্ষিত প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মোংলা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান বলেন, "সোমবারের( ২৮ এপ্রিল) শ্রমিক সংঘের ঘটনার বিষয়ে কেউ নিখোঁজ হয়েছে এমন কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। কেউ এ বিষয়ে কোনো লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ করেনি এবং আমরা ঘটনাটির কোনো সত্যতা পাইনি। আমাদের ধারণা, বিষয়টি সম্পূর্ণ গুজব। বর্তমানে শ্রমিসংঘ চত্বরে প্রশাসন মোতায়েন রয়েছে, যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।"

শ্রমিকদল নেতারা বলেন, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর মোংলায় রাজনৈতিক অস্থিরতা অর্থনীতিকে ঝুঁকিতে ফেলছে। তারা দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা দাবি করেন।
Comments