নীলফামারীতে হাজিরা দিতে এসে জনতার তোপের মুখে সাবেক এমপি

২০১৮ সালে নির্বাচনী প্রচারণায় বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ভগ্নিপতি অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের গাড়ী বহরে হামলা, ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ ও ডোমারের যুবদল নেতা মাসুদ বিন আমিনের কাছে ১০লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। চাঁদা না দেয়ায় নানাভাবে নির্যাতনের অভিযোগে নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকারকে বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টেট আদালত জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।
রবিবার দুপুরে জেলা কারাগার থেকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে প্রিজন ভ্যানে আদালতে নিয়ে আসা হলে বিক্ষুব্ধ জনতা তাকে কিল-ঘুষি, সেন্ডেল, থুথু ও বালু নিক্ষেপ করে। পরে আদালতে তোলা হলে আসামি পক্ষে জামিন আবেদন করা হলে শুনানি না হওয়ায় দুই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয় বিজ্ঞ বিচারক দেলোয়ার হোসেন। জেল হাজতে নেয়ার পথে উৎসুক জনতা আফতাব উদ্দিন সরকারকে ভুয়া ও ভোট চোর বলে আখ্যায়িত করে। মুহুত্বেই শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত হয় পুরো আদালত চত্বর।
এর আগে গত ৫মার্চ বুধবার রাতে তাকে রংপুর নগরের সেনপাড়া এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ। সেখানে তাকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিনটি হত্যা মামলায় আটক দেখানো হয়।
অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের আইনজীবি অ্যাড. আসাদুজ্জামান খান রিনো জানান, ২০১৮সালের নির্বাচনী প্রচারণায় যাওয়ার সময় সাবেক এমপি আফতাব উদ্দিন সরকার, তার দলের ৭০থেকে ৮০ জন লোক আধ্যাপক রফিকুল ইসলামের গাড়ী বহরে হামলা চালায়। এসময় গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়, গুরুতর আহত হয় রফিকুল ইসলামসহ তার দলের নেতাকর্মী। রবিবার তাকে আদালতে তোলা হয়েছে। বিজ্ঞ বিচার দেলোয়ার হোসেন তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
এদিকে মাসুদ বিন আমিনের আইনজীবি অ্যাড. মামুনুর রশিদ পাটোয়ারী জানান, বিগত স্বৈরাচার সরকারের আমলে ডোমার-ডিমলার সাবেক এমপি আফতাব উদ্দিন সরকারসহ তৎকালীন ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন ডোমার উপজেলা যুবদল নেতা মাসুদ বিন আমিনের কাছে ১০লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। চাঁদা না দেয়ায় তাকে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করে। পরবর্তীতে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
Comments