পটুয়াখালীতে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে ছাত্রদলের ৩ নেতাকে বহিষ্কার
![](https://dhakajournal.com/sites/default/files/styles/big_1/public/images/2025/02/13/img-20250213-wa0006.jpg?itok=YbK8a12G×tamp=1739450242)
সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগের ভিত্তিতে পটুয়াখালীতে ছাত্রদলের তিন নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে অপর তিনজনকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত পৃথক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বহিষ্কৃত তিনজন ছাত্রদল নেতা হলেন, পটুয়াখালী শহরের আব্দুল করিম মৃধা কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আরিফ বিল্লাহ, পলিটেকনিক কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক অমি প্যাদা এবং পটুয়াখালী সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী হাসান রাকিব।
এ ছাড়া যে তিনজনকে শোকজ করা হয়েছে তারা হলেন জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান শামীম, সদস্য সচিব জাকারিয়া আহমেদ ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আল-আমিন হাওলাদার।
বিবৃতিতে বলা হয়, আব্দুল করিম মৃধা কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আরিফ বিল্লাহ, পলিটেকনিক ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক অমি প্যাদা এবং পটুয়াখালী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী হাসান রাকিবকে দলীয় প্রাথমিক সদস্য পদসহ সাংগঠনিক সব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন। একই সঙ্গে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের তাঁদের সঙ্গে কোনো ধরনের সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অপর বিবৃতিতে সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে পটুয়াখালী জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান শামীম, সদস্য সচিব জাকারিয়া আহমেদ ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আল-আমিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে কেন স্থায়ী সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতির কাছে এর লিখিত জবাব দিতে বলা হয়।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার ১১ ফ্রেবুয়ারি রাত ১০টার দিকে জেলা শহরের বনানী এলাকায় পটুয়াখালী টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. ইব্রাহীম খলিল (১৬)কে কুপিয়ে জখম করা হয়। রাত ৯টার দিকে বাসা থেকে সবুজবাগ মোড়ের একটি দোকানে মোবাইল ফোনে টাকা রিচার্জ করতে আসলে ইব্রাহিমকে জোর করে একটি অটোরিকশায় তুলে ছাত্রদল নেতা মনির শুভ, তাঁর ছোট ভাই মো. হীরাসহ সাত-আটজন তুলে নিয়ে যায়। পরে বনানী এলাকার নির্জন স্থানে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়। তারা খলিলের ডান হাতের তিনটি আঙুল ও দুই পায়ের রগ কেটে রাস্তার পাশে ফেলে রাখে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে উন্ত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান শামীম, সদস্য সচিব জাকারিয়া আহমেদের মোবাইলে কল দিলে তারা কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
Comments