থানা উদ্বোধনের দাবিতে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ঝাউদিয়া থানা উদ্বোধনের দাবিতে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে স্থানীয়রা।
মঙ্গলবার(৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল নয়টা থেকে বেলা সোয়া বারটা পর্যন্ত বিত্তিপাড়া বাজারে ঝাউদিয়া থানা বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করেন তারা। ঝাউদিয়াসহ আশপাশের ৬ ইউনিয়নের কয়েকহাজার মানুষ এই কর্মসূচিতে অংশ নেই।
এদিকে টানা কয়েক ঘন্টা গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক অবরোধের ফলে কুষ্টিয়ার সাথে যশোর-খুলনার যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মহাসড়কের দুইপাশে শত শত যানবাহন আটকে পড়ে। এতে চরম ভোগান্তিতে পরেন যাত্রীরা।
পরে প্রশাসনের আশ্বাসে সোয়া ৩ঘন্টা পর অবরোধ প্রত্যাহার করে নেই বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা ঝাউদিয়ায় স্থানান্তর নিয়ে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারির পরও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অবিলম্বে ঝাউদিয়া থানা উদ্বোধন না করা হলে এ আন্দোলন চলবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে লোকজন বিত্তিপাড়া বাজারে জড়ো হয়। সেখান থেকে তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে। বিক্ষোভকারীরা টায়ার জ্বালিয়ে ও ব্যারিকেড দিয়ে সড়কে অবস্থান নেয়। এতে দুইপাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
ঝাউদিয়া থানা বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য শাহরিয়া ইমন রুবেল বলেন, ছয়টি ইউনিয়নের প্রাণকেন্দ্র ঝাউদিয়া। এখানে দীর্ঘদিন ধরে থানা না থাকায় চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই, এমনকি হত্যার ঘটনা ঘটছে। তিনি বলেন, ঝাউদিয়া থানা স্থাপনের সব বিষয় নির্ধারণ হওয়ার পরও পুলিশ সুপার দিনের পর দিন বিষয়টি ঝুলিয়ে রাখছেন। আজকের আন্দোলনে দায় তাদেরই নিতে হবে।
খুলনাগামী গড়াই বাসের চালক নাসির উদ্দিন বলেন, 'দীর্ঘ সময় ধরে বিক্ষোভ চলায় ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।
ঝাউদিয়া থানা বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক হায়াত আলী বিশ্বাস বলেন, ঝাউদিয়া থানা বাস্তবায়নের সকল কার্যক্রম সমাপ্ত হলেও থানা উদ্বোধনে নানা গাফিলতি করা হচ্ছে। তাই আজ আমরা ঝাউদিয়া থানা উদ্বোধনের দাবীতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছি। দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি চলবে বলেও জানান তিনি।
কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার(এসপি) মিজানুর রহমান বলেন, 'থানা স্থানান্তরের জন্য বেশ কিছু প্রক্রিয়া আছে। অবকাঠামো নির্মাণের ব্যাপার আছে। সেগুলো সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। বিক্ষোভকারীদের সাথে কথা হয়েছে। অবরোধ তুলে নিয়েছেন তারা।
Comments