বৃদ্ধা জমিলা খাতুনের ঘরে চাল নেই, জ্বলে না চুলা
নাম জমিলা খাতুন অবিবাহিত স্বামী সংসারহীন বৃদ্ধা ৬০ বছরের জমিলা খাতুনের গল্প বলবো। গল্পটি যখন বর্তমানে যুগে বাস্তবে দেখা এক অজপাড়া গাঁয়ে। জমিলা খাতুন থাকেন পরিত্যক্ত একটা ভাঙা ঝুপড়ি ঘরে ,ছেঁড়া পলিথিন, প্লাটিকের বস্তা ও ভাঙা টিনের আদলে ঘরের চারপাশের বেড়া দেওয়া। ঘরে চাল নেই, তাই ঠিকমতো চুলাও জ্বলে না।
এভাবেই খেয়ে-না খেয়ে অতি কষ্টে দিন কাটছে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার দূগানগর ইউনিয়নের রাজমান নিচিনপাড়ার নিঃসন্তান বৃদ্ধা ও সহজ সরল অসহায় ৬০ বছরের জমিলা খাতুনের। প্রচন্ড শীতে কোন রকম কষ্টে দিনপার করছে এই জমিলা খাতুন
স্থানীয় মোস্তাক সরকার বলেন, জমিলা খাতুন অবিবাহিত স্বামী সংসার না থাকায় কোন রকম ভাবে বোনের বাসায় ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করেন তিনি। এবং চোখে ঠিকমতো দেখতেও পায় না। গ্রামের লোকজনের কাছে এক বেলা খেয়ে না খেয়ে চলছে তার জীবন । কেউ খাবার দিলে পেটে কিছু জোটে না হলে না খেয়েই থাকতে হয়। জমিকা খাতুনের রয়েছে এক ভাই এক বোন তারাও দিন এনে দিন খায়। তাদের সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হয়। তারপরো যতটকু পারে তাতের সাধ্যমত সাহায্য করে। তবে বর্তমানে জমিলা খাতুনের কষ্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অসহায় জমিলা খাতুনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন , যে জায়গায় ঝুপড়ি ঘর এটা আমার বোনের জায়গায় তুলে আছি। বর্ষা বৃষ্টির সময় ঘরের মধ্যে ঝর ঝর কইরা পানি পরে। শীতের সময় শীতে জীবন শেষ। ভালো মতো ঘর তোলার টাহা পয়সা আমার নাই। একখান সরকারি ঘর পাইলে আমার আর কষ্ট হইতো না। যে ঘরডায় থাহি তা মানষের টাহায় কোন রকম ঝুপড়ি ঘর তুলে আছি। সরকারি ঘর পামু কই! দেবে কেডা। এর আগে মেম্বার চেয়ারম্যানের দুয়ারে দুয়ারে বহুত ঘুরছি। শরীর যখন ভালা আছিলো মানুষের কাম কাইজ কইরা যা জোড়ে হেই দিয়াই চলেছি এহন আর কামকাজ করতে পারি না আর চোখে ছানি পড়ায় ঠিক মতো দেখবার পারি না। ধনিরা যদি হামাক একটু সহযোগিতা করতো শেষ বয়সে ভালো থাকপের পারতাম। বিয়ে না করায় আল্লায় আমার স্বামী সংসার নাই এমনটাই কান্না জড়িত কন্ঠে বলছিলেন জমিলা খাতুন।
Comments