ইসরায়েলি নারী সেনাকে মুক্তি দিলো হামাস
গাজা উপত্যকায় বন্দি একজন ইসরায়েলি নারী সেনাকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সম্পাদিত যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময় চুক্তির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) তাকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। খবর আলজাজিরার।
মুক্তিপ্রাপ্ত ইসরায়েলি নারী সেনার নাম আগাম বার্গার। বৃহস্পতিবার গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবির থেকে তাকে মুক্তি দেয়া হয়। ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধ শুরু করার পর থেকে এই শিবিরটি বারবার ইসরায়েলি বাহিনীর লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে।
আগাম বার্গারসহ আজ মোট আটজন বন্দির মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। এদের মধ্যে পাঁচজন থাইল্যান্ডের নাগরিক এবং তিনজন ইসরায়েলি নাগরিক।
বৃহস্পতিবার গাজার বিভিন্ন স্থানে এসব বন্দিকে মুক্তি দেয়া হবে। এর মধ্যে দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরে হামাসের সাবেক রাজনৈতিক প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারের পূর্ববর্তী বাড়ির বাইরেও কিছু বন্দিকে মুক্তি দেয়া হবে।
তাদের মুক্তির বিনিময়ে আজ বিকেলে ১১০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনি প্রিজনার্স ক্লাব এক বিবৃতিতে বলেছে, আগামীকাল (আজ) ১১০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়া হবে। গত ১৯ জানুয়ারি শুরু হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে এটিই তৃতীয় বন্দিবিনিময়।
সংগঠনটি বলেছে, রামাল্লার রাদানা এলাকায় স্থানীয় সময় দুপুর নাগাদ বন্দিদের পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
বন্দিদের তালিকা প্রকাশ করে সংগঠনটি বলেছে, তাদের মধ্যে ৩০ জনের বয়স ১৮ বছরের নিচে, ৩২ জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত এবং আরও ৪৮ জন বিভিন্ন মেয়াদে কারাগারে আছেন। মুক্তি পাওয়া ২০ জন বন্দিকে নির্বাসনে পাঠানো হবে।
এর আগের দুটি বন্দিবিনিময়ে ৭ ইসরায়েলি বন্দির মুক্তির বিনিময়ে ২৯০ জন বন্দিকে মুক্তি দেয় ইসরায়েল। তাদের প্রায় সবাই ফিলিস্তিনি। তবে একজন জর্ডানিয়ান ছিলেন।
Comments