পাওনা টাকা নয়, ক্ষমতার লড়াইয়ে খুন যুবদল নেতা
মেহেরপুরের গাংনীতে যুবদল নেতা আলমগীর হোসেনকে হত্যার কারণ হিসেবে পাওনা টাকার বিরোধ নয়, দলীয় ক্ষমতার দ্বন্দ্বকেই দায়ী করেছে পুলিশ। আজ দুপুরে মেহেরপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার মাকসুদা আখতার খানম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, "তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ডিবি ও সাইবার ক্রাইম ইউনিট এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো রবিউল ইসলাম বিপ্লব, জনি ইসলাম, হাসিবুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম শফি, আলমগীর হোসেন ও মাফিকুল ইসলাম।"
পুলিশ সুপারের তথ্য মতে, নিহত আলমগীর হোসেন ছিলেন ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি। তিনি দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকার পর দেশে ফিরে পুনরায় রাজনীতিতে সক্রিয় হন। এতে মাফিকুল ইসলাম মাফি, যিনি তার অনুপস্থিতিতে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন, প্রভাব হারানোর শঙ্কায় পড়েন।
অন্যদিকে, রবিউল ইসলাম বিপ্লব গাংনী পৌর যুবদলের সম্পাদক পদে নির্বাচন করার জন্য আলমগীরের সমর্থন চেয়েছিলেন। কিন্তু আলমগীর তাকে সমর্থন না করায় উভয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়।
পুলিশ জানায়, আলমগীরের জনপ্রিয়তা তাকে সভাপতি পদ থেকে সরানো কঠিন করেছিল। এ কারণেই তাকে হত্যা করে মাফিকে ক্ষমতার চেয়ারে বসানোর ষড়যন্ত্র করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।