নীলফামারী দলিল লেখক সমিতির অনিয়ম ঢাকতে তড়িঘড়ি নির্বাচনের পায়তারা
নীলফামারী দলিল লেখক সমিতির চরম অনিয়ম ও দুর্নীতি ঢাকতে তড়িঘড়ি করে সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠানে একটি মহল সক্রিয় হয়ে ওঠার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সূত্র জানায়, অনিয়মের আঁতুর ঘর হিসেবে পরিচিত নীলফামারী দলিল লেখক সমিতিতে গত ১০-১২ বছরে ৪০-৫০ লাখ টাকা তসরুপের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, এ নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় খবর প্রকাশের পর গত ৩১ ডিসেম্বর দলিল লেখক সমিতির কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে আমজাদ হোসেনকে আহবায়ক এবং আফতাব হোসেন, জিয়াউর রহমান, গোলাম মোস্তফা লিটন ও জামিউল ইসলামকে সদস্য করে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সাধারন দলিল লেখকগণ স্থানীয় সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, বিগত সময়ে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও লাখ লাখ টাকা তসরুপের ঘটনা ধামাচাপা দিতে একটি মহল তড়িঘড়ি নির্বাচন অনুষ্ঠানের পায়তারা শুরু করেছেন।
দালাল বেষ্টিত সাবরেজিষ্টার অফিসে পদে পদে হয়রানির কবলে পড়ে প্রতারিত হনননি এমন মানুষ খুজে পাওয়া দূষ্কর। জমি ক্রেতা বিক্রেতা সকলেই নাজেহাল হয়েছেন সমিতির কতিপয় নেতার কাছে। বিভিন্ন রকম টালবাহানা, সমিতির নামে চাাঁদা আদায় ছাড়াও বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা এতিম খানা, এমনকি মৃত্যুকালীন চাঁদা পর্যন্ত আদায় করা হতো সমিতির নামে। একই সূত্র জানায়, গত ১০-১২ বছরে বিভিন্ন অনিয়ম আর ছলচাতুরি ছাড়াও নীলফামারী সদরের মৌজা ভিত্তিক দোলা, ভিটা, বসত ভিটা, ডাঙ্গা, বালু পতিত, বাঁশঝাড়, ডোবা ও বাণিজ্যিক শ্রেণির জমির শ্রেণি পরিবর্তন ও সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে।
দলিল লেখক সমিতির কয়েকজন নেতা সাবরেজিষ্ট্রারদের সঙ্গে যোগসাযোশে এ কর্ম করে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়েছেন। যাদের কিছুই ছিলনা তারা এখন একাধিক বাড়ি,গাড়ি, প্রচুর জমিজমার মালিক হয়েছেন।
সূত্র জানায়,অনিয়মের কারনে সমিতির সাবেক এক নেতার বিরুদ্ধে মামলা হলেও তা এখন হিম ঘরে। অপর দিকে ক্ষমতাচ্যূত আওয়ামী লীগ সরকার মদদপুষ্ট দলিল লেখকগণ পুনঃরায় সমিতিকে কুক্ষিগত ও অনিয়ম দুর্নীতি ঢাকতে তড়িঘড়ি সমিতির নির্বাচন করার পায়তারা শুরু করেছেন বলে জানা গেছে।